Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ধানে যত্রতত্র কীটনাশক ব্যবহারে মারা যাচ্ছে ৩৭৫ ধরণের উপকারী পোকা-ব্রি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাজমুল বারী বলেছেন, কৃষকেরা ধানের কুশি বাঁচানোর জন্য ভয়ে বিষ (কীটনাশক) দেন। অথচ সবাই জানে সব কুশিতে ধান আসে না। যেসব কুশি আক্রান্ত হয়, সেসব কেটে ফেলবেন। বিষ দেবেন না। বিষ দিলে আক্রান্ত কুশির সঙ্গে ধান গাছই মরে যায়। নাইট্রো বিষ ধানের জন্য না। ধানে ব্যবহারে অনুমতি নেই। অথচ সারাদেশের কৃষক ধানে নাইট্রো বিষ ব্যবহার করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধানে ২৩২ ধরণের ক্ষতিকারক পোকা থাকে। একইসঙ্গে ৩৭৫ ধরণের উপকারী পোকাও ধানে থাকে। যত্রতত্র বিষ দেয়ার ফলে উপকারী পোকাও মরে যাচ্ছে। কোনো জমিতে ভিটামিন দেবেন না। ধান চাষে ভিটামিন লাগে না। সার প্রয়োগ করলেই যথেষ্ট।

মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা এলাকায় নিরাপদ ফসল ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ধানের সমন্বিত পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণে প্রধান প্রশিক্ষকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাজমুল বারী আরও বলেন, একই বিষ বারবার দেয়া যাবে না। অপ্রোয়জনীয় বিষের ব্যবহার চলতে থাকলে আমরা বিকলাঙ্গ জাতি হতে সময় লাগবে না। বাংলাদেশে ক্যান্সারের প্রকোপ চলছে। দৈনিক ৫২৮জন ক্যান্সার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যেসব ক্যান্সার রোগী ভর্তি হচ্ছে তাঁদের ৫০-৬০ ভাগ কৃষক। কৃষকেরা আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ কীটনাশক। হাত, নাক, শরীর বেয়ে ফুসফুসসহ পুরো শরীর আক্রান্ত হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে ক্যান্সারের।

স্থানীয় কৃষক মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে কৃষক প্রশিক্ষণে আরও বক্তব্য দেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ বি এম আনোয়ার উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, কক্সবাজার ব্রি’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুজাহিদুল মোস্তফা ও নাসিমা আকতার।

পরে ব্রি ১০২ ধানের প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। কৃষক হাসান আলী এক একর জমিতে ব্রি ১০২ চাষ করেন। তিনি বলেন, ব্রি ১০২ এই উপকূলীয় অঞ্চলে প্রথম চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারাও ব্রি ১০২ এর ফলনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

0Shares