👤 এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া
মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের আদেশ লঙ্ঘন করছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে টনক নড়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। এরই প্রেক্ষিতে এতদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজ এর নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের নীতিমালার আলোকে জৈষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
গতকাল ১২ মে সোমবার ২০২৫ ইংরেজি দুপুরে ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজ গর্ভনিং বড়ির ( এডহক কমিটির) সভাপতি অধ্যাপক ছাবের আহমদ এর সভাপতিত্বে গর্ভনিং বড়ির বিশেষ সভা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত রেজুলেশনে পাশ করে আনুষ্ঠানিক ভাবে নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম কুমার চৌধুরী।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর নিয়োগ দেওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম কুমার চৌধুরীর নিয়োগ পদ্ধতিগতভাবে বিধিমালার পরিপন্থী হয়েছে। আগের অধ্যক্ষের অবসরজনিত শূন্য পদে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব না দিয়ে কলেজের অপেক্ষাকৃত জুনিয়র সহকারী অধ্যাপক উত্তম চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জানা যায়, ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, কলেজটির হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক উত্তম কুমার চৌধুরী তিনজন শিক্ষকের মধ্যে জ্যেষ্ঠ নন। অন্যদিকে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী এমপিওভুক্তির তারিখ, যোগদানের তারিখ এবং জন্ম তারিখ অনুসারে জ্যেষ্ঠতম। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগে জৈষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন কলেজের বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী। এরই আলোকে গত ২২ এপ্রিল সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ডুলাহাজারা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে কলেজ সভাপতি ছাবের আহমেদকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।