চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে মায়ের অসুস্থতার অজুহাতে বাড়িতে ঢেকে নিয়ে এক নারীকে আটকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাবলি আক্তার (৩৩) নামের এক নারী বাদি হয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক শহিদুল ইসলাম ওরফে বাপ্পীকে (২৫) একমাত্র আসামি করে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছে। আদালত বাদির নালিশী মামলা আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ বুরো অব ইন়ভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভিকটিম ওই নারী। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ওরফে বাপ্পি চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বানিয়ারছড়া এলাকার মাহমুদুল হক প্রকাশ জসিম উদ্দিনের ছেলে।
মামলার এজাহারে বাদি বাবলি আক্তার বলেন, তিনি স্বামীর সংসার থেকে বিচ্ছেদ হবার পর সাতবছর বয়সের মেয়েকে নিয়ে ফাইতং ইউনিয়নের খেদারবান এলাকায় বাপের বাড়িতে বসবাস করছেন। পক্ষান্তরে বিবাদী শহিদুল ইসলাম ওরফে বাপ্পি তাঁর দুর্সম্পর্কের মামাতো ভাই। বাপ্পি একটি অস্ত্র মামলার আসামি হওয়ায় পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে রাতের বেলায় তাঁর (বাদির) বাড়িতে থাকতেন। সেসময় বাপ্পি তাঁর (বাদির) সঙ্গে সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বয়সে ছোট হওয়ায় বাদি সেই সম্পর্কে রাজি হননি। এর কিছুদিন পর অস্ত্র মামলায় জামিন পেলে বিবাদী বাপ্পি আর তাঁর (বাদির) বাড়িতে থাকতেন না।
বাদি এজাহারে বলেন, আত্মীয়তার সুবাদে মে মাসের ১৩ তারিখ সকালে বাপ্পি এসে আমাকে বলে বাড়িতে তাঁর মা খুবই অসুস্থ। তাঁকে একটু খেদমত করতে আমাকে তাঁর বাড়িতে যেতে হবে। তাঁর কথায় সরল বিশ্বাসে আমি তাঁর বাড়িতে গেলাম। কিন্তু বাড়িতে দেখি বাপ্পির মা নেই। তখন আমি চলে আসতে চাইলে বাপ্পি কৌশলে আমার সাতবছরের শিশু মেয়েকে বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে আমাকে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
পরে আমি বাড়ি চলে এসে ঘটনাটি আত্মীয় স্বজনকে জানাই। এরই একপর্যায়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বাপ্পি আমাকে বিয়ে করবে বলে আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসিকে কথা দেন। এ অবস্থায় দুই সপ্তাহ সময় অতিবাহিত হলেও বাপ্পি বিয়ের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়ে আমি গত ২৩ মে আদালতে মামলা করেছি। আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুবিচার চাই।
