👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া থানায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে পেকুয়া থানায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আজ বুধবার (২ জুলাই) দিনের যে কোনো সময় তাকে পেকুয়া নেওয়া হতে পারে।
গত ১৮ জুন চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চকরিয়া থানার পাঁচটি এবং পেকুয়া থানার দুইটি মামলায় মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে চকরিয়ার পাঁচটি মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। আজ বুধবার পেকুয়ার দুটি মামলায় তাঁকে ৪ দিনের রিমান্ডে পেকুয়া থানায় নেওয়া হবে।
এদিকে সাবেক এমপি জাফর আলমকে আদালতে হাজির করার খবরে আদলত প্রাঙ্গণে কয়েক দফা উত্তেজনা দেখা দেয়। গত ১৮ মে, ২১ মে ও ১৮ জুন চকরিয়া আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করে। অপরদিকে ১৮ জুন জাফর আলমকে চকরিয়া আদালতে নেওয়া হলে তাঁর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, জাফর আলমকে প্রথমে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে পেকুয়া থানায় না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে হঠাৎ করেই সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাঁকে পেকুয়ায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে তাঁকে পেকুয়া থানায় নেওয়া হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাঁর নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে।
জাফর আলমের পরিবারের দাবি, ৬৯ বছর বয়সী, পিত্তথলি অপসারণ করা এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন—এমন একজন সিনিয়র সিটিজেন ও সাবেক এমপিকে টানা ১৮ দিন রিমান্ডে রাখা অমানবিক ও নজিরবিহীন। তাঁদের অভিযোগ, একজন প্রভাবশালী নেতার প্রভাবে এমন বিবেকবর্জিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিবার আরও জানায়, পেকুয়া থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। বিশ্বস্ত সূত্রে তারা জানতে পেরেছে, রিমান্ড চলাকালে পেকুয়া বিএনপি ও যুবদলের দুইজন সিনিয়র নেতা থানায় প্রবেশ করে মব সন্ত্রাস চালানোর পরিকল্পনা করেছে। থানাটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বাড়ির নিকটবর্তী হওয়াও নিরাপত্তা ঝুঁকির একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা।এ ছাড়া পেকুয়ায় কোনো মানসম্মত হাসপাতাল না থাকায় জাফর আলমের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।
এমপি জাফরের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে জেলগেটে অথবা প্রয়োজনে চকরিয়া বা কক্সবাজার সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবী জানানো হয়।