
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদারপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চোরবেশে বাসায় ঢুকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা এক যুবককে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়।
চকরিয়া থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদস্যের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলায়। তিনি কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সাফারি পার্ক জোনে কর্মরত আছেন। গত তিনমাস ধরে ওই পুলিশ সদস্য চকরিয়া পৌরসভার সিকদারপাড়া এলাকার বাসাটি ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে থাকেন। গত সোমবার পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে কর্তব্যরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো রাত পৌনে ১১টার দিকে তাঁর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সোয়া তিনটায় বাসার রান্নাঘরের জানালা দিয়ে একটি বাঁশের সাহায্যে কৌশলে মূল দরজার সিটকিনি খুলে ঘরে প্রবেশ করেন এক যুবক। ঘরে ঢুকেই পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে জিম্মি করে দুটো মুঠোফোন ও আড়াই হাজার নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। ওই সময় ‘আর কি আছে বের করে দে’ বলে হুমকি দিতে থাকেন যুবকটি। তাঁর হুমকিতে ঘরে থাকা তাঁর দুই শিশু সন্তান আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে কাঁদতে থাকে। একপর্যায়ে শিশু সন্তানদের শোবার ঘরে ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেন যুবকটি। পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ঘরে আর কিছু নেই জানালে ‘এদিকে আয়’ বলে তাকে টেনে হিঁচড়ে রান্নাঘরে নিয়ে যান ওই যুবক। সেখানে লম্বা দা দিয়ে ভয় দেখিয়ে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণ শেষে ওই যুবক মুঠোফোন ও টাকা নিয়ে মূল দরজা দিয়ে চলে যান। এরপর কান্নাকাটি শুনে পাশের বাড়ির মালিক ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ওই পুলিশ সদস্য কর্মস্থল থেকে গিয়ে চকরিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন এবং নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, চোরবেশে এক পুলিশ সদস্যের ঘরে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠা যুবককে সনাক্ত করতে আশপাশের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।