👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
চকরিয়া পৌরসভার মাস্টারপাড়া এলাকায় বাড়িতে স্ত্রী থাকার পরও অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি এবং বাড়িতে মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় স্বামী ও তাঁর পরিবার সদস্যরা মিলে স্ত্রীকে বেদড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশঘাট মাস্টারপাড়া এলাকায় সংগঠিত নারী নির্যাতনের এ ঘটনায় গত ১২ জুলাই চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন আহত নারী ফাতেমা বেগম।
মামলার এজাহারে ওই এলাকার জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, কামাল উদ্দিন, সেলিম ও সাদ্দাম হোসেনসহ পাঁচজনের নামোল্লেখ করে আরও ৩-৪জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিরা সবাই এক পরিবারের সদস্য।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার এসআই জাকির হোসেন চকরিয়া পৌরসভার বাঁশঘাট মাস্টারপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নারী নির্যাতন মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদি ফাতেমা বেগম (৪৭) গতকাল রাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে চকরিয়া থানার পুলিশ আমার মামলার এজাহারনামীয় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর মামলার এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিরা জড়ো হয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার উপর হামলা চালায়।এসময় তাঁরা লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আমার সর্বশরীরে গুরুতর জখম করেছে। ঘটনার একপর্যায়ে আমার উপর হামলার খবরটি শুনে আমার ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২৫) ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা একই কায়দায় তাকেও ব্যাপক মারধর করে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার ছেলের মুখমণ্ডল ও ঠোঁটের আগায় রক্তাক্ত জখম করেছে।
ঘটনার পর পরিবার সদস্যরা এলাকাবাসির সহযোগিতায় আমরা মা-ছেলেকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছেন। তৎমধ্যে আমার ছেলের আঘাত আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
মামলার বাদি ফাতেমা বেগম বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা করে আমি এখন আসামিদের হামলা ও হুমকি ধমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এব্যাপারে আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।