
চকরিয়া উপজেলার ইলিশিয়া ব্রিজ সংলগ্ন নুরুল্লাহর অফিসে এক চিংড়ি ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই ব্যবসায়ীর দেড় লাখ টাকা ও একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত চিংড়ি ব্যবসায়ীর নাম এজাহার আহমদ (৬৫)। তিনি ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধী পাড়ার মৃত আহমদ আলীর ছেলে। তিনি এজাহার ফিশিংয়ের মালিক।
এজাহার আহমদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ঢেমুশিয়ার সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন ও তাঁর ভাই নুরুল্লাহ চিংড়ি ব্যবসায়ী এজাহার আহমদের কাছ থেকে ২৪ কানি লবণ মাঠ লাগিয়ত নেন। এজাহার আহমদ লাগিয়ত বাবদ নুরুল্লাহ ও নুরুল আমিনের কাছ থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছেন। এই টাকা আজ দিবে, কাল দিবে বলে সময় ক্ষেপন করছিলেন তাঁরা। একপর্যায়ে ওই জমিতে নুরুল্লাহ গতকাল বুধবার ফলবোট বসালে বাধা দেন এজাহার আহমদ। এ ঘটনার জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এজাহার আহমদকে তুলে নিয়ে ইলিশিয়া ব্রিজ সংলগ্ন নুরুল্লাহর অফিসে আটকে রেখে মারধর করেন নুরুল্লাহ ও নুরুল আমিন। একপর্যায়ে তাঁদের দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লোকজন এনে এজাহার আহমদকে আবারও মারধর করা হয় এবং দেড় লাখ টাকা ও ৩৫ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন তাঁরা। পরে খবর পেয়ে এজাহার আহমদের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এজাহার আহমদ বলেন, নুরুল্লাহ ও নুরুল আমিন ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে তাঁদের অফিসে অন্তত দুই ঘন্টা আটকে রেখে মারধর করে। একপর্যায়ে দেড় লাখ টাকা ও ৩৫ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় তিনি আইনী প্রতিকার চান প্রশাসনের কাছে। এজাহার আহমদ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
এবিষয়ে নুরুল্লাহ ও নুরুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।