Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোটভাইয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ হত্যা মামলায় ওসমান সরওয়ার ওরফে বাপ্পী নামের একজনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবির এ আদেশ দেন।

ওসমান সরওয়ার পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের ছোটভাই। ওসমান সরওয়ারও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বাদীপক্ষের আইনজীবী মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষক আরিফ হত্যা মামলার আসামি ওসমান সরওয়ারকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির সর্বোচ্চ রিমান্ড দাবি করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের কর্ণেল হাট এলাকা থেকে ওসমান সরওয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) হস্তান্তর করে র‍্যাব। পরে পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলেন।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ১১ অক্টোবর বাড়ির বাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে বস্তাবন্দি ও পায়ে ইট বাঁধা অবস্থায় পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর রাত নয়টার দিকে পেকুয়া চৌমুহনীর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে তিনি অপহৃত হয়েছিলেন। অপহরণের পর ১ অক্টোবর আরিফের ছোটভাই মোহাম্মদ রিয়াদুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় মামলা রুজু করেন। লাশ উদ্ধারের পর মামলাটি হত্যামামলায় রুপান্তর হয়।

মামলার আইনজীবী মিফতাহ্ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছরের ২১ অক্টোবর বাদী রিয়াদুল ইসলাম ১৮ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আদালতে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। ওই সময় মামলায় পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৪৯), তাঁর স্ত্রী রোমানা আক্তার (৪২), বাবা রমিজ আহমদ(৭০), মা রোজিনা বেগম (৬৫), ভাই মোহাম্মদ আলমগীর (৪৪), মোহাম্মদ আজমগীর (৪০) ও ওসমান সরওয়ার (২৭), চাচাতো ভাই অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ হানিফ (৩২), জাহাঙ্গীরের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ সোলায়মান (৩৫), আজমগীরের ঘনিষ্ট সহযোগী মোকাম্মেল হক (৩৫) ও আরিফুল ইসলাম (৩০), পেকুয়া সদরের মাতবর পাড়ার বাসিন্দা শামশুল আলম (৬০), হরিণাফাঁড়ি এলাকার বাসিন্দা নাছির উদ্দিন (৫৫) ও অটোরিকশা চালক ওমর ফারুক (৩০), চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী এলাকার রুবেল খাঁন (২৭), শিলখালী ইউনিয়নের সিকদারঘোনার আকতার আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ খোকন (৩৫), মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী (৫২) এবং পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি ও টৈটং ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনকে (৪৫) অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন জানানো হয়।

বাদী রিয়াদুল ইসলাম আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন, নিহত শিক্ষক আরিফের সঙ্গে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরে জাহাঙ্গীর ও তাঁর ভাইয়েরা কিছু পেশাদার অপহরণকারী ও খুনী দিয়ে শিক্ষক আরিফকে অপহরণ পরবর্তী খুন করে। অপহরণের পর জাহাঙ্গীরের পুরোনো বাড়িতেই শিক্ষক আরিফকে খুন করে লাশ পুকুরে ফেলা হয়।

27Shares