
গত ১৮ আগস্ট বিবিসি একাত্তর নামক একটি অনলাইন পোর্টালে ‘পেকুয়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এটি শুধু অতিরঞ্জিত নয়, সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এই ভুয়া সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃত কথা হলো পেকুয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর সাবেকগুলদি এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন ওরফে মোনাক্কর একজন ভূমিদস্যু। তাঁর ভূমিদস্যুতার কারণে আমরা চরমভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি। মোনাক্কর লোভের বশবর্তী হয়ে আমাদের বসতভিটার জায়গা জবরদখলের চেষ্টা করছিল। এ ঘটনা আমরা সমাজের সর্দার, স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অভিহিত করি। তাঁরা সার্ভেয়ার দিয়ে বিষয়টি পরিমাপ করিয়ে সীমানা ঠিক করে দেন। ওভাবেই মোনাক্কর বসতঘরের দেয়াল তুলে। দেয়াল তোলা সম্পূর্ণ হলে জানালা বের করে আমাদের জায়গার ওপর। তখন আমরা বাধা দিই এবং বিচারকদের জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় মোনাক্কর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমরা পুরুষরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে নারী সদস্যদের ওপর হামলে পড়ে। একজন গর্ভবতী নারীকে দা দিয়ে আঘাত করে ও লাথি দেয়। অন্য দুইজনকে মারধর করে এবং ঘরের চালা ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে বকাবকি করে তাড়িয়ে দিলে বারবাকিয়া বাজার সংলগ্ন আমাদের মেশিন ঘরে (মরিচ মিল) দা ও হাতুড়ি নিয়ে গিয়ে আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে। আমরা ধাওয়া দিলে সে ব্রিজ পার হয়ে বাজারে চলে যায়। পরে আমাদের বাবা নুর মোহাম্মদ বাজারে গেলে তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে মোনাক্কর পালিয়ে যায়। এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তিলকে তাল করে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ করিয়েছে। আমরা ভাইয়েরা ১০ ভাই। সবাই যার যার অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত। মূলত মোনাক্কর সামাজিকভাবে আমাদের হেয় করতে নানাভাবে চেষ্টা করছে। আমরা ভুয়া ও ভুল সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।
প্রতিবাদকারী
মোহাম্মদ শাহজাহান, ছরওয়ার আলম বাদশা, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ আলী আকবর, সর্বপিতা- নুর মোহাম্মদ ঠিকানা-উত্তর সাবেকগুলদি , ৬ নম্বর ওয়ার্ড, পেকুয়া সদর, পেকুয়া, কক্সবাজার।