Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বদরখালী সমিতির নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার ছাপিয়ে প্রার্থীদের প্রচারণা!

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম সমবায়ী প্রতিষ্ঠান কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদের বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন।

এবারের ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে তিনজন, সহসভাপতি পদে তিনজন, সম্পাদক পদে তিনজন এবং ৯টি পরিচালক (সদস্য) পদের বিপরীতে ২৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর এখন পুরোদমে ভোটের মাঠে রয়েছেন।

তবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু তার আগেই বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে পোস্টার ছাপিয়ে কর্মী সমর্থকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে অভিনব কৌশলে প্রচার-প্রচারনা শুরু করেছেন।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা সমবায় অফিসার মো. রমিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনে সভাপতি পদে তিনজন, সহসভাপতি পদে তিনজন, সম্পাদক পদে তিনজন এবং ৯টি পরিচালক পদের বিপরীতে ২৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সমিতির ১৫০০ জন সদস্য (সভ্য) তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

প্রতীক বরাদ্দের আগে বেশিরভাগ প্রার্থী প্রতীক সহকারে পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার প্রচারনা করছেন কীভাবে জানতে চাইলে সহকারী নির্বাচন কমিশনার ও চকরিয়া উপজেলা সমবায় অফিসার মো. রমিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ৩২ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন। তাদের মধ্যে পরিচালক পদে মাত্র দুইজন প্রার্থী একটি প্রতীক চেয়েছেন। অন্য সবাই অর্থ্যাৎ ৩০ জন প্রার্থী একটি করে প্রতীক চেয়েছেন, ওই প্রতীকটি দ্বিতীয় কেউ চাইনি। সেই সুযোগে তাঁরা আগেভাগে প্রতীক সহকারে পোস্টার ছাপিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এটি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন। সবাই কমবেশি এ অপরাধ করছেন, সেইজন্য কমিশন একটু শিথিল মনোভাব দেখাচ্ছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সভাপতি নুরুল আলম সিকদারের ছেলে সরওয়ার আলম সিকদার, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আকবর। সহসভাপতি পদে আছেন সাবেক সহসভাপতি আলী মোহাম্মদ কাজল, বর্তমান কমিটির সহসভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল ও নতুন মুখ দিদারুল আলম মজিদ।

সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদবি সম্পাদক পদে তিনজন ভোটযুদ্ধে রয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন সাবেক দুইবারের সম্পাদক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বর্তমান কমিটির সম্পাদক আ.ন.ম মঈন উদ্দিন, সমিতির সাবেক সম্পাদক প্রয়াত একেএম ইকবাল বদরীর ভাই এএম এস্তেফাজুর রহমান।

অন্যদিকে সমিতির ৯টি ব্লক থেকে ৯জন পরিচালক (সদস্য) পদের বিপরীতে ২৩ জন ভোটের মাঠে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন কামরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, কফিল উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বিকেএম নুরুল কাইছার, জিয়া উদ্দিন, বখতিয়ার উদ্দিন রুবেল, শাহাব উদ্দিন শাকিল, হাজি হামিদ উল্লাহ, আবুল হাসনাত মোঃ পারভেজ, আবু তাহের, রেজাউল করিম বাদল, মোজাফফর আহমদ, নুরুল কাদের, আনোয়ারুল ইসলাম, এসএম শওকত ওসমান, জয়নাল আবেদীন কাতারী, আখতার আহমদ, জমির উদ্দিন, জাফর আহমদ, নাজেম উদ্দিন, কুতুবউদ্দিন ও ছলিম উল্লাহ।

0Shares