👤 এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়া থানার একটি মামলায় আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রমজান আলীকে (৬৫) প্রায় ৩১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের আজমনগর স্টেশনের অদূরে একটি মৎস্য ঘের থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রমজান আলী উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের আজমনগরের ছৈয়দ আহমদের ছেলে।
থানা পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৯৪ সালে এনামুল হক নামের এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেন রমজান আলী ও তাঁর অপর সহযোগী মিলে। এ ঘটনার পর একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এনামুল হক বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন রমজান আলী।
ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে কক্সবাজার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে।
অভিযান পরিচালনাকারী চকরিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার রাতে বদরখালী সমুদ্র চ্যানেল লাগোয়া একটি মৎস্য ঘেরে সাজা ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি রমজানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি প্রায় সময় মৎস্য ঘেরে অথবা চিংড়ি জোনে স্থান পরিবর্তন করে এতেদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘পলাতক আসামি রমজান আলী মামলার পর থেকে ৩১ বছর গ্রেপ্তার এড়াতে দুর্গম চিংড়িজোনে আত্মগোপনে থাকতেন। সে কারণে পুলিশ অভিযানে গেলেও তাঁকে ধরতে পারেনি এতোদিন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’