👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মহাসড়কের পাশ থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরের মাতামুহুরী সেতু এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (৪৫)। তিনি উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড দিঘির পাড় এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে। বাড়ির পাশে তিনি ইজিবাইকের গ্যারেজ করেন এবং ওই গ্যারেজে চার্জিং স্টেশন করে ব্যবসা করেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চিরিংগা থেকে স্থানীয় মোহাম্মদ মিন্টুসহ মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে মাতামুহুরী সেতুর ওপরে ব্যারিকেড দেন কিছু দুর্বৃত্ত। এসময় মিন্টুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গিয়াস উদ্দিনকে টর্চলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে একটি গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এরপর মিন্টুকে ছেড়ে দিলে তিনি গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে খবর দেন। পরে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মাতামুহুরী সেতুর কাছাকাছি মহাসড়কের পাশে গিয়াস উদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়।
নিহত গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ মিন্টু চকরিয়া থানা চত্ত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, মোটরসাইকেল গতিরোধের পরই আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গিয়াসউদ্দিনকে টর্চলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর তাকে একটি কারগাড়িতে তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যান দুর্বৃত্তরা। পরে আমি গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে খবর দিই। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মাতামুহুরী সেতুর কাছাকাছি মহাসড়কের পাশে গিয়াস উদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়।
নিহত গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাড়ির পাশে তৌহিদ নামের এক ব্যক্তি নতুন পাকা বাড়ি করে বসবাস করছেন কয়েকবছর ধরে। তৌহিদ এলাকায় একটি চোরচক্র গড়ে তুলেন। এই চোরচক্র বিভিন্ন সময় ইজিবাইক, ইজিবাইকের ব্যাটারি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে আসে। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান আমার স্বামী। এক বছর আগে তৌহিদের নেতৃত্বে আমার স্বামীর ওপর হামলা হয়। এবিষয়ে থানায় মামলা হয়। মূলত এর জের ধরে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গিয়াসউদ্দিনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, মাথা থেঁতলানো। হাতে কামড়ের দাগও আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, নিহতের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বের করার চেষ্টা করছে। পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে।