👤 ডেস্ক রিপোর্ট
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করেছে। এখন সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা কি একটি রাজনৈতিক দলের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে নাকি দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকেই অগ্রাধিকার তারা দেবে।
রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্বল পেয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির অর্থ একদিকে নির্বাচন না করে হয়তো রাষ্ট্রের খবরদারির সুযোগ নেওয়া, অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে যদি বলতে হয়—পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথকে সুগম করে দেওয়া।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আমরা দেখছি, রাজধানী ঢাকায় যেভাবে আগুন সন্ত্রাস চালানো হয়েছে, সেটা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির করণীয় সম্পর্কে একটা সতর্কবার্তা হতে পারে বলে আমার কাছে মনে হয়।
‘জুলাই সনদে যা অঙ্গীকার করা হয়েছে, যা আমরা সই করে এসেছি, বিএনপি এসব অঙ্গীকার রক্ষা করবে, রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তারেক রহমান বলেন, আসলে সবার আগে প্রয়োজন রাষ্ট্র ও রাজনীতি সম্পর্কে মানসিকতার পরিবর্তন। প্রয়োজন রাজনৈতিক সমঝোতা, গণতান্ত্রিক মানসিকতা এবং সর্বোপরি দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্য।
জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে বিএনপি সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও জনসমর্থিত দল হওয়া সত্ত্বেও ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখার ব্যাপারে বিএনপি সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছে। এটি কথার কথা নয়, এটি প্রমাণিত।
তিনি বলেন, আমরা যদি কাগজপত্রগুলো দেখি তাহলে দেখবো বিএনপি সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছে। রাজনৈতিক ঐকমত্য কমিশনের প্রতিটি দফা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বিএনপি অধিকাংশ পয়েন্টে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছে। আমাদের বক্তব্য একদম পরিষ্কার।
কথিত গণভোট করতে হলে তিন হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কথিত গণভোট করার চেয়ে সেই টাকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার বা কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন এবং আলু চাষিদের আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ হবে।