Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইটভাটা ভাঙতে বাধা, এবি পার্টি ও এনসিপি নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ও চকরিয়া উপজেলার মানিকপুরের অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ১১জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ১৭ নভেম্বর সোমবার লামা থানায় মামলাটি দায়ের করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন।

মামলায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় পর্যটন বিষয়ক সহসম্পাদক ও চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এবি ওয়াহেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী এরফানুল হক, মিজবাহ উদ্দিন মিন্টু (৪৮), মো. মহিউদ্দিন (৪০), শওকত ওসমান (৪০), মাস্টার খায়ের উদ্দিন (৫০), মুজিবুল হক চৌধুরী (৫০), মিজান, জলিল, আলম মেম্বার ও জহির উদ্দিনকে সুনির্দিষ্ট আসামি করা হয়। একইসাথে এ মামলায় আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, বাধা প্রদানকারীরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নন। তারা অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের পালিত শ্রমিক ও বাহিনী। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। 

জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর (রোববার) বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ও চকরিয়া উপজেলার মানিকপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটাসহ পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন করেন। সেই সময় অভিযানের উদ্দেশ্যে আসা পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের গাড়ি বহরের সামনে কাফনের কাপড় পড়ে সড়কে শুয়ে প্রতিবাদ করে ইটভাটার শ্রমিকেরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফাইতং ইউনিয়নে অনুমোদন ছাড়াই ৩১ ইটভাটা চলছে। এসব ইটভাটার মধ্যে এ বছর প্রায় ২৫টির কার্যক্রম চালু হয়। এর মধ্যে পাঁচ-ছয়টি ইটভাটার চুলায় আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে।ইটভাটার মালিকেরা পাহাড় কেটে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

0Shares