Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ডাকাতির শিকার চার সাংবাদিক, দুই রাজনৈতিক নেতা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া-পহরচাঁদা সড়কের হারবাং ছড়া ব্রিজে ডাকাতের কবলে পড়েছেন চার সাংবাদিক ও দুই রাজনৈতিক নেতা। গত বুধবার রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত ১০টার মধ্যে তাঁরা ডাকাতির শিকার হন। এসময় ডাকাতদল নয়টি মুঠোফোন ও দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা লুট করেছে। রাত একটার দিকে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ডাকাতের হামলায় ডাকাতির শিকার ব্যক্তিরা আহত হয়েছেন। তাঁরা পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের বহনকারী দুটো মোটরসাইকেল সড়কের পাশের খোলা বিলে ফেলে দেওয়া হয়।

ডাকাতির শিকার ব্যক্তিরা হলেন পেকুয়া উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু ছিদ্দিক (রনি), পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নায়েমুর রহমান (হৃদয়), মানবজমিনের পেকুয়া প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন, আনন্দ টিভির পেকুয়া প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম (রাশেদ), দৈনিক সমকালের পেকুয়া প্রতিনিধি হিরু আলম ও কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার পেকুয়া প্রতিনিধি নেজাম উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে আবু ছিদ্দিক, নায়েমুর রহমান ও হিরু আলম একটি মোটরসাইকেলে অন্য তিনজন আরেকটি মোটরসাইকেলে ছিলেন। দুটি মোটরসাইকেলে পৃথক সময়ে একই ডাকাতদলের কাছে ডাকাতির শিকার হন তাঁরা।

সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা তিনজন রাত সাড়ে আটটার দিকে মোটরসাইকেলযোগে চকরিয়া যাচ্ছিলাম। হারবাং ছড়া ব্রিজে পৌঁছালে ৯-১০জন মুখোশপরা ডাকাত মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এরপর রশি দিয়ে আমাদের হাত-পা বেঁধে সড়কের পাশে খাদে ফেলে রাখে। আমাদের কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন ও ২০হাজার টাকা লুট করে। ডাকাতদলের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করায় নেজাম উদ্দিনের মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়।

কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু ছিদ্দিক বলেন, আমরা তিনজন রাত ১০টার দিকে চকরিয়ার একটি হোটেলে খেতে যাচ্ছিলাম। এসময় হারবাং ছড়া ব্রিজে পৌঁছালে আমাদের মোটরসাইকেল আটকিয়ে দুটি আইফোন ও তিনটি স্মার্টফোন এবং দুই লাখ ১০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমাদের হাত-পা বেঁধে সড়কের পাশে ফেলে রাখে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমরা বুঝতে পারি আরও তিনজনকে ১০মিটার দূরে বেঁধে ফেলে রেখেছে। ডাকাতদলের সদস্যরা চলে যাওয়ার পর একজন আরেকজনের হাত-পায়ের গিঁট খুলে মুক্ত হয়ে ছয়জনই হেঁটে লোকালয়ে চলে যাই। পরে খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ডাকাতদের অবস্থান সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া গোপনেও তদন্ত চলছে, কারা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

44Shares