
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নে একটি পরিবারের শতবছরের চলাচলের পথ দখলে নিয়ে জোরপূর্বক পাকা বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটি ছাড়াও আশপাশের আরও ১১ পরিবারের লোকজন স্বাভাবিক চলাচলে গত একমাস ধরে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর সদস্যরা চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এখন তাঁরা বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িভিটার উপর দিয়ে কোনমতে হাঁটাচলা করছে।
উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়া গ্রামে মমতাজুল ইসলামের পৈতৃক অংশে জমিতে তৈরি করা চলাচলের পথ দখলে নিয়ে ঘটেছে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রাস্তার জমি মালিক মৃত মমতাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল আবছার ও আনোয়ার হোছাইন বাদি হয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা (২০৩/২৫) রুজু করেছেন। মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সাইদুজ্জামান চৌধুরী বিরোধীয় বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে চকরিয়া উপজেলার এসিল্যান্ড ও আইনশৃঙ্খলা তদারকি করতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদি নুরুল আবছার অভিযোগ করেছেন, আমাদের চলাচলের পথ জবরদখল চেষ্টার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হন অভিযুক্ত বিবাদি সাহেদ লতিফ, শাহাদাত কবির, জসিম উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন গং। এরই জেরধরে গত একমাস আগে তাঁরা রাতের আঁধারে বহিরাগত সন্ত্রাসী জড়ো করে বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে আমার বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে পরিবারের সবাইকে চলাচলের পথটি দখলে নিয়ে সেখানে রাতারাতি পাকাবাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছে।
মামলার বাদি ভুক্তভোগী নুরুল আবছার ও তার ভাই আনোয়ার হোছাইন বলেন, চলাচলের পথের মালিকানা নিয়ে ইতোপূর্বে বদরখালী সমিতির গ্রাম আদালত কতৃক আমাদের পক্ষে রায়ডিগ্রি হয়ে। তারপরও তাঁরা দখল চেষ্টা চালালে আমরা নতুন করে কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু তাঁরা আদালতের আদেশ অমান্য করে আমাদের চলাচলের পথটি দখলে নিয়ে এখন বাড়ি তৈরি করছেন।
আমাদের বাবার পৈতৃক অংশের মালিকানাধীন জমিতে তৈরি করা চলাচলের পথটি বন্ধ করে দেয়ার কারণে আমাদের পরিবার ছাড়াও আশপাশের আরও ১১টি পরিবারের লোকজন গত একমাস ধরে চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে দাপটশালী হওয়ায় আমরা তাদের কাছে জিন্মিদশায় রয়েছি। বাঁধা দেয়ার সাহস পাচ্ছি না। আমরা এ অবস্থায় বিজ্ঞ আদালত, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের কাছে সুবিচার চাই। পাশাপাশি জিন্মিদশা থেকে আমাদের পরিবারকে উদ্ধারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।





