
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের মাঝেরঘোনা এলাকায় এক বিধবা নারীর বসতভিটে জবরদখল করতে একের পর এক হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঞটছে। এতে ওই নারী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাঝেরঘোনা এলাকার মোস্তাক আহমদের প্রথম স্ত্রীর ঘরে ছয় সন্তান। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে হাসিনা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। সেই ঘরে জন্ম নেয় এক ছেলে ও এক মেয়ে। মোস্তাক আহমদ মারা যাওয়ার পূর্বে মোহরানার হিসেবে হাসিনা বেগমকে পাহাড়ি ২০ শতক রিজার্ভ জায়গা স্ট্যাম্পমূলে লিখে দেন। কিন্তু প্রথম ঘরের সৎ সন্তানেরা এই জায়গা না দিতে নানা টালবাহানা ও ষড়যন্ত্র শুরু করে। একপর্যায়ে সৎমায়ের ওপর নির্যাতন বাড়িয়ে দেন তাঁরা। কোনো উপায় না পেয়ে হাসিনা বেগম প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরছেন। ইতিমধ্যে হাসিনা বেগমকে ব্যাপক মারধর করার অপরাধে রুহুল আমিন, জাহেদ আমিন, আব্দুল হামিদসহ ভাইদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হাসিনা বেগমের ছেলে আবুল হাসনাত তানভীরকে মাঝেরঘোনা স্টেশনে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছে। এবিষয়ে হাসিনা বেগম প্রশাসন ও দেশবাসীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।




