👤 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের কোনাখালী ইউনিয়নের পুরুত্যাখালী বাজারের সাতটি দোকান সমুদয় মালামালাসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত দোকানীরা।
সোমবার ভোররাত আনুমানিক চারটার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরুত্যাখালী বাজার স্টেশনে ঘটেছে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, রোববার বেচাকেনা শেষে রাতে বাজারের সব দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা বাড়ি চলে যায়। এরইমধ্যে সোমবার ভোররাতে হঠাৎ করে বাজারের একটি দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত ঘটে। এতে একে একে আশপাশের সাতটি দোকান মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে
নজরুল ইসলাম বাবুলের সার ও কীটনাশক দোকান, ডাঃ কলিম উল্লাহর ফার্মেসি, নুরুল কবিরের মুদির দোকান, মনোয়ার আলমের পানের দোকান ও আবু হানিফ ছুট্টুর চায়ের দোকানসহ আরও দুটি দোকান।
অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, অগ্নিকাণ্ডে মালামালসহ আমার দোকান পুড়ে গিয়ে ব্যবসার সব পুঁজি শেষ হয়ে গেছে। ঘটনাটি আমি চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার ও স্থানীয় উপসহকারী কৃষি অফিসারকে জানিয়েছি।
এ অবস্থায় সোমবার বিকালে চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসী অগ্নিকাণ্ডে সার ও কীটনাশক দোকান পুড়ে যাবার বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ মহিউদ্দিনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মহিউদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে নজরুল ইসলাম বাবুলের সার ও কীটনাশক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাশাপাশি বাজারের আরও ৫-৬টি দোকান মালামালসহ পুড়ে গেছে।