Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চকরিয়ায় সাংবাদিক পরিবারের বসতভিটা কেড়ে নিতে দফায় দফায় হামলা ও লুটপাট, দুই মেয়েকে কুপিয়ে জখম

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বৃন্দবনখিল গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত সাংবাদিক এবিএম ছিদ্দিকের বসতভিটা কেড়ে নিতে দফায় দফায় হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। এ ঘটনায় বাঁধা দিতে গেলে ওই সাংবাদিকের এক মেয়েকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম ও অপর এক সন্তান সম্ভাবা মেয়েকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।

১৭ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ১০ টা ও দুপুর ২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বৃন্দাবনখিল গ্রামে সাংবাদিক ছিদ্দিকের পরিবারের উপর দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় সাংবাদিকের মেয়ে সাদিয়া ছিদ্দিকা (৩০) কে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। অপর মেয়ে সন্তান সম্ভাবা আফরিন ছিদ্দিকা (২৭) কেও ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা এসময় সাংবাদিকের বসতবাড়ির বেশকিছু ফলজ গাছ (কলা গাছ) কেটে ফলও লুট করে নিয়ে গেছে।

সাংবাদিক ছিদ্দিকের স্ত্রী হাসিনা খানম জানান, বুধবার ১৭ ডিসেম্বর সকালে ও দুপুরে দুই দফায় স্থানীয় সাদীর ছেলে আরমানের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একদল লোক আমার বসতভিটায় অনধিকার প্রবেশ করে জবর দখলের উদ্দেশ্যে ফলজ গাছ কাটা শুরু করে। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা আমার দুই মেয়েকে ব্যাপক মারধর করে। তারা বড় মেয়ে সাদিয়াকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম এবং ছোট মেয়ে আফরিনকেও ব্যাপক মারধর করে তার গর্ভের সন্তান নস্ট করার চেষ্টা করেছে হামলাকারীরা।

বাড়িতে হামলা ও দুই মেয়েকে মারধরের এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসিনা খানম।

জানা গেছে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বৃন্দাবনখিল গ্রামের মরহুম আলতাফ আহমদের পুত্র বিশিষ্ট সাংবাদিক এবিএম ছিদ্দিক আহমদ ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট মারা যান। তিনি পেকুয়া উপকূলীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি এবং জাতীয় দৈনিক খবর পত্রের চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার সাবেক প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সাংবাদিকের বড় ছেলে মোহাম্মদ মারুফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় ছুটি নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি আসার পথে ২০২২ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহা-সড়কের চুনতি এলাকায় হানিফ বাসের চাপায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যবরণ করেন।
পরিবারের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাবা-ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকে স্থানীয় ভূমিদস্যূ সিন্ডিকেট অসহায় পরিবারটি ওপর বিভিন্ন সময় হামলা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে অত্যাচার চালিয়ে অতিষ্ট করে তুলেছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনির হোসেন জানান, এঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0Shares