Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বৃষ্টি নেই চকরিয়ায় পানি কমছে, পেকুয়ার কিছু স্থানে পানি বাড়ছে

আজ বুধবার ভোর চারটা থেকে বৃষ্টি নেই। রৌদ্রজ্বল সকাল। বন্যার্তদের জন্য এ যেন এক অন্যরকম দিন। কক্সবাজারের চকরিয়ার বেশিরভাগ এলাকা থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পেকুয়ার কিছু স্থানে পানি বাড়ছে। ফলে নতুন এলাকা ও বসতঘর প্লাবিত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, চকরিয়ায় অন্তত দেড় থেকে দুই ফুট পানি কমেছে।

সরেজমিনে চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের শাকের মোহাম্মদ চর এলাকায় দেখা যায়, বসতঘরের চালা ছুঁইয়ে আছে বন্যার পানি। ঘর বাড়ি ছেড়ে মানুষ উঁচু সড়ক ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এখনও জিদ্দাবজার-কাকারা সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে আছে। মানুষ একস্থান থেকে অন্যস্থানে নৌকায় চলাচল করছে। চকরিয়া পৌরশহরেও পানি কমতে শুরু করেছে। অনেকের বসতঘর থেকে পানি নেমে গেছে।

কাকারার বাসিন্দা মো. অহিদুজ্জামান বলেন, ভোর চারটা থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও বুক সমান পানি রয়েছে বসতঘরে-রাস্তাঘাটে।

জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, জলকপাট খুলে দেয়ায় ও বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। সাগরে জোয়ার কম থাকায় দ্রুত পানি নামছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বন্যাদূগর্ত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। চকরিয়ার জন্য জেলাপ্রশাসন ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দিয়েছে। শুকনো খাবারের পাশাপাশি চালগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চকরিয়ায় পাহাড়ধসে দুজন ও পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে পেকুয়া উপজেলার ১০-১২ টি গ্রাম থেকে পানি কমে যাচ্ছে। তবে আরও ১০টি গ্রামে পানি বাড়ছে। যেসব বসতঘরে হাঁটু সমান পানি ছিল সেসব বসতঘরে বুক সমান পানি হচ্ছে। বিশেষ করে পেকুয়া সদরের নিম্নাঞ্চল গোঁয়াখালী, বকসু চৌকিদারপাড়া, ছিরাদিয়া, বিলহাচুরা, শেখেরকিল্লাহ ঘোনা, সিকদারপাড়া, বাইম্যাখালী, জালিয়াখালী, নন্দীরপাড়া, বাঘগুজারা এলাকায় পানি বাড়ছে।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, উঁচুস্থান থেকে পানি নিটু স্থানে নেমে আসছে। এজন্য পানির পরিমাণ বাড়ছে কিছুস্থানে। তবে ছিরাছিয়া ও গোঁয়াখালী এলাকায় বেড়িবাঁধ কেটে দিয়ে বন্যার পানি কাটাফাঁড়ি খালে বের করে দেয়া হচ্ছে। খালে লোকালয়ের চেয়ে ৫-৬ফুট পানি কম আছে। এজন্য দ্রুত লোকালয় থেকে পানি বের হচ্ছে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা নৌকা নিয়ে বন্যায় প্লাবিত এলাকায় গিয়ে শুকনো খাবার, চাল-ডাল ও রান্না করা খাবার বিতরণ করছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম, জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ দিয়েছেন এবং বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

পেকুয়া সদরের গোঁয়াখালী এলাকার বাসিন্দা এইচএম রাশেদুল কবির বলেন, আজ বুধবার ভোর থেকে গোঁয়াখালী এলাকায় পানি বাড়ছে। তবে স্থানীয় জনগন বেড়িবাঁধ কেটে দিয়েছে। বৃষ্টি না হলে রাতের মধ্যে পানি ৩-৪ফুট কমে যাবে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ পাওয়া ১৫ টন চাল বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও পানিবন্দী হয়ে পড়া লোকজনের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পেকুয়ায় সাপের কামড়ে এক ব্যবসায়ী ছাড়া আর কোনো মৃত্যু নেই।

0Shares