চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে গর্ভবতী এক নারী ও তাঁর মা নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকসহ আরও চারজন। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকার আব্দুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫৫) ও তাঁর মেয়ে জেসমিন আকতার (২০)। চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ভান্ডারিরডেবা এলাকায় জেসমিন আকতারের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামীর নাম মামুনুর রশিদ।
আহতেরা হলেন চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের মো. দুদুমিয়া (৬০), তাঁর স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৫৫), হারবাং ইউনিয়নের বাজারপাড়ার আব্দুল হাকিমের স্ত্রী শাহিন আকতার (৪৫) ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক বরইতলীর ভিলেজারপাড়ার বাসিন্দা মো. এলাহাদাতের ছেলে মো. আরিফ ওরফে পুতু (২৫)। দুদুমিয়া ও রাবেয়া বেগম নিহত জেসমিন আকতারের শ^শুর-শাশুড়ি। আর শাহিন আকতার ধাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, মহাসড়কের বানিয়ারছড়া এলাকাটি ঢালু। এই ঢালু দিয়ে অটোরিকশাটি নামার সময় ঢালুতে উঠতে থাকা লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি খাদে পড়ে গিয়ে মা-মেয়ে নিহত ও চারজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন ও হাইওয়ে পুলিশ নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
নিহত জেসমিন আকতারের স্বামী মামুনুর রশিদ বলেন, তাঁর স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠলে বাড়ি আসেন তাঁর শাশুড়ি রোকেয়া বেগম। বাড়িতে ধাত্রী শাহিন আকতারকে এনে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অবস্থা জঠিল আকার ধারণ করলে ধাত্রী, শাশুড়ি, তাঁর বাবা-মা তাঁর স্ত্রীকে চকরিয়া হাসপাতালে নিতে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠেন। অটোরিকশাটি বানিয়ারছড়া ঢালা পার হওয়ার সময় একটা লম্বা লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ি মারা যান। গুরুতর আহত হন তাঁর বাবা-মা।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন চন্দ্র রুদ্র বলেন, নিহত দুজনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্য দুজন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অটোরিকশা ও লরি জব্দ করে চিরিংগা হাইওয়ে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।