নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোনে দুই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।এরমধ্যে এক কিশোরী কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার যুবক হলেন কক্সবাজার পৌরসভার মোজাহেরপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. সোলায়মান শামীম (২৩)।
এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক কিশোরী। এর আগে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে পরদিন মঙ্গলবার সকাল সাতটার মধ্যে ওই দুই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ তদন্ত করছে। ওসি বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই সনাক্ত হয়েছে। তাঁদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শিরিন আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তাঁর রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার একজন কিশোরীর দেয়া তথ্যমতে, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজিউন কটেজ নামের একটি আবাসিক হোটেলে সোমবার রাতে দুই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। গত রোববার একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে ওই দুই কিশোরী কক্সবাজার যান। তাঁরা কলাতলীর মেরিন প্লাজা নামের একটি আবাসিক হোটেলে উঠেন। সোমবার রাতে ওই দুই কিশোরী হোটেল থেকে বের হলে জোরপূর্বক ইজিবাইকে তুলে রাজিউন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের একপর্যায়ে তাঁরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মঙ্গলবার সকালে জ্ঞান ফিরলে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেন দলবদ্ধ ধর্ষণকারীরা। কিন্তু পথিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যান এক কিশোরী। অপরজন ঢাকার উদ্দেশে চলে যান। রামুতে নেমে যাওয়া কিশোরীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। এক কিশোরী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছে। একজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।