Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কক্সবাজারে অস্ত্রসহ ৬ জলদস্যু গ্রেপ্তার, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

কক্সবাজারে ছয় জলদস্যুকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩টি ধারালো দা, ১৪টি কার্তুজ ও বেশকিছু মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেল ও বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুর একটার দিকে কক্সবাজার ৬ নম্বর জেটিঘাট এলাকায় এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশিখালীর মাহমুদ উল্লাহর ছেলে মো. বাদশা (২৭), একই ইউনিয়নের মুসালিয়া শিকদার পাড়ার রহিম উল্লাহর ছেলে মো. মারুফুল ইসলাম (২২), দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের জুলেখা বিবির পাড়ার মো. ইসমাইলের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২২), সাহারুম শিকদার পাড়ার মো. ইউনুসের ছেলে মো. রাফি (১৯), পেচারপাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে এরশাদুল ইসলাম (২০) ও চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার নারিকলতলার সেইলর কলোনীর আবু বক্করের ছেলে মো. আল-আমিন (২৫)।

র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জেলেদের মাছ, ট্রলারের মালামাল ডাকাতি ও জানমালের ক্ষতি করে আসছিল কযেকটি জলদস্যু চক্র। অসহায় জেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জলদস্যুদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে মহেশাখালী এবং বাঁকখালী নদীর মোহনায় দীর্ঘ অভিযান চালিয়ে জেলেদের লুণ্ঠনকৃত প্রায় ৬-৭ হাজার কেজি মাছ, জাল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩টি আগ্নেয়স্ত্র, ৩টি ধারালো দা, ১৪টি কার্তুজ ও মোবাইলসহ ৬ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার জলদস্যুদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে জলদস্যুতার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

0Shares