কক্সবাজারের পেকুয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা মো. বারেক ওছাত্রলীগ নেতা আমিনুর রশিদের বিরুদ্ধে। তাদের নেতৃত্বে সশস্ত্র অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী বসত ভিটা দখলে নিতে এসেভুক্তভোগীর বাড়িঘরের ঘেরা–বেড়া ভাঙচুর করে এবং হত্যার উদ্দেশ্য গুলি ছুঁড়ে। তাদের ছোঁড়া গুলিতে ছাদের পানির ট্যাংকফুটো হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার সময় পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের জালিয়াকাটাগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নাজিম উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসীরা গত ১১ আগস্ট সকাল ১০টায় হামলা করার চেষ্টা করলে আমি পেকুয়াউপজেলার অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পে অভিযোগ করি। সেটি জানার পর সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আজকের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অন্তত ৫০ জন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী বসত ভিটাদখলের উদ্দেশ্যে ঘেরা–বেড়া ভাঙচুর করে এবং বাড়ির অন্যান্য লোকজনকে লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করে।ভুক্তভোগীরা প্রাণে বাঁচতে ঘরের ভেতর আশ্রয় নেয়। তাদের ছোঁড়া গুলিতে ছাদের উপরে থাকা পানির ট্যাংক ফুটো হয়েযায়।
ভুক্তভোগী নাজিম উদ্দীন, আব্দুল মালেক জানান, আমার বাবার নামে বি এস ১৩৫০ নং খতিয়ান এবং দাদার নামে ৯৯৬নং খতিয়ান প্রচারিত আছে। তাদের কোনো ধরনের কাগজ না থাকা সত্ত্বেও ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময়েআওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে পেশী শক্তি ব্যবহার করে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বারেক ও ছাত্রলীগ নেতআমিনুর রশিদের নেতৃত্বে জোর পূর্বক প্রায় এক একর ২০ শতক জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। পরিত্রান পেতেআমরা আইনের আশ্রয় নেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের পরিবারের উপর হামলা করেছে একাধিক বার। হামলা করারঅপরাধে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে পেকুয়া থানায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে। যার মামলা নং জিআর২২৮ এবং ৫৭ নং। মামলা দুইটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
এছাড়াও তারা ২০১৮ সালে স্থানীয়ভাবে বিচারের কথা বলে জোরপূর্বক স্ট্যাম্প নিয়ে শালিশী রেওয়াদ সৃষ্টি করেন।পরবর্তীতেউক্ত অপরাধের দায়ে ভুক্তভোগীদের বাবা মোক্তার আহমদ চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১১৩/১৮জালিয়াতি ও প্রতারণার ধারার মামলা করেন। মামলাটিও চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিচারাধীনরয়েছে।
তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর ফুফাতো ভাই মনজুর আলম চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৪১৪/১৬সিভিল মামলা করলে উক্ত মামলায় নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত বিবাদী পক্ষ যাতে জায়গা দখল করতে না পারে১৬ নং আদেশ মূলে ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর মামলা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারিকরেন। তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জায়গা দখলের চেষ্টা করলে বাদীপক্ষ বিষয়টি আদালতকে অবগত করে। আদালত ৩১ নং আদেশ মূলে এই বছরের ৩ মার্চ পেকুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য আইনগত ব্যবস্থানেওয়ার আদেশ দেন। আদেশ মতে পেকুয়া থানা গত ২ এপ্রিল বিবাদীগনকে নোটিশ জারি করে।
এসব বিষয়ে জানতে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।