Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চকরিয়া-পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট

চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা লাঠি হাতে রাজপথে নেমে পড়েন। এসময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা চকরিয়া-পেকুয়ায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনা ঘটান।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন বলেন, চকরিয়া থানা রাস্তার মাথায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্স। এটির পাশেই তাঁর স্ত্রী শাহেদা বেগমের মালিকানাধীন শাহেদা কমপ্লেক্স। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে চকরিয়া পৌর শহরে জমায়েত হন। এরপর একযোগে মিছিল নিয়ে গিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্স ও তাঁর স্ত্রী শাহেদা বেগমের শাহেদা কমপ্লেক্সে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা হামলা-ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে অন্তত ৩০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালানো হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিস্টেম কমপ্লেক্স ও শাহেদা কমপ্লেক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময়ে (সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা) ভবন দুটি জ্বলছিল।

পেকুয়া থেকে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিকেল চারটার দিকে হাজারো মানুষ মিছিল নিয়ে গিয়ে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পেকুয়া বাজারের তিনতলা ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়। একপর্যায়ে গেট ভেঙে বসতঘরে ঢুকে লুটপাট চালানো হয়। এই ভবনের দ্বিতীয় তলায় আইএফআইসি ব্যাংকের শাখা রয়েছে। পরে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একইসময়ে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আজমগীরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সামির প্লাজাতে ভাঙচুর করা হয়। এই প্লাজার নিচে স্থানীয় সাংবাদিকদের কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে আসবাবপত্র বের করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন বলেন, দুপুরের পর থেকে চকরিয়া ও পেকুয়াতে খণ্ড খণ্ড মিছিল চলছে। তবে সেনাবাহিনী মাঠে থাকলেও তাঁরা কাউকে বাধা দেননি। পুলিশের কোনো সদস্যকে কোথাও দেখা যায়নি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম ও পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

0Shares