কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরের কহলখালী পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় নেমেছেন দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালান স্বেচ্ছাসেবকেরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ।
আজ বুধবার দুপুরে দেখা যায়, পেকুয়া সরকারি হাসপাতাল এলাকায় কহলখালী খাল থেকে স্বেচ্ছাসেবকেরা ময়লা আবর্জনা তুলছেন। আবর্জনা খালের দুই পাড়ে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকদের আবর্জনা খোড়ার সরঞ্জাম ব্যবস্থা করে দেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পেকুয়া উপজেলা সদরের বৃষ্টি পানি নিষ্কাশন হয় কহলখালী খাল দিয়ে। এই খালটিতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে মানুষ বন্যার শিকার হয়। এই কারণে খালটি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ বলেন, গত রোববার উপজেলার অন্তত অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। তাঁরা খালটি পরিস্কার করতে সম্মত হয় এবং একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা খালটির কিছু অংশ খনন করে দিতে রাজি হয়। আমরা এখন স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। এই কাজ চলমান থাকবে।
সামাজিক সংগঠন শিলখালী নবতরুণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল ইসলাম বলেন, খালটি পরিস্কার করতে আমাদের কয়েকদিন লাগতে পারে। আমরা প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে স্বেচ্ছায় শ্রম দিবো। খালটির পানিপ্রবাহ ঠিক থাকলে মানুষ হাজারো একর জমিতে শুষ্ক মৌসুমে চাষ চাষ করতে পারে। উপজেলা পরিষদ, থানা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাজারো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্যায় ডুববে কিনা তা নির্ভর করে এই খালটির ওপর। তাই আমরা অন্তত দুই কিলোমিটার খাল পরিস্কার করব।