সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আটক করা হয়েছে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কেউ এর সত্যতা নিশ্চিত করেননি। ফলে আটকের বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার ফারুক হোসেন সমকালকে বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁকে আটকের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে আলী আরাফাতকে আটক করা হয়। এই খবরের সত্যতা জানতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও ডিএমপির গুলশান বিভাগে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও আটকের বিষয়ে তথ্য নেই বলে জানান।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীর মতো আরাফাতও পলাতক। তিনি ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন। তাঁকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও ৪৬ জন ওই মামলার আসামি। এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলার আসামি আরাফাত।
১২ আগস্ট আরাফাত, তাঁর স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।
আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে আলোচনা করতেন। এভাবেই তিনি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। এরপর থেকে তিনি দলের বুদ্ধিবৃত্তিক নানা কাজে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে ১৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে– আরাফাত ঢাকায় ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে রয়েছেন। পরে অবশ্য দূতাবাস জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রচার করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।