কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হোছাইনের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি অংশও।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএমসি ইনস্টিটিউশনের সামনে সড়ক অবরোধ করেন। পরে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হোছাইন খন্ডখালীন আরও দুজন শিক্ষককে নিয়ে একটি শক্তিশালী চক্র গড়ে তুলেছেন। গত আট থেকে ১০ বছরে এই চক্রটি কোচিং বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। করোনার সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে ৩১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি প্রমাণিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসন তদন্তের নামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তামাশা করেছে। এ কারণে দাবি আদায়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সড়কে শুয়ে বসে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। এসময় সড়কের দুই পাশে কয়েক শত যানবাহন আটকে যায়। এতে চৌমুহনী থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষকদের সমর্থিত শিক্ষার্থীদের আরেকটি পক্ষ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের চারজন প্রতিনিধিকে আমার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।