কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় মাছের একটি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এসময় ডাকাতদের বন্দুকের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন। মাছ লুট করা হয়েছে অন্তত চার লাখ টাকার। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাঘোনা এলাকার কালা মিয়ার ছেলে জিয়াউদ্দিন বাবুল (৩৭), কুতুবজুম ইউনিয়নের দৈলারপাড়া এলাকার আনছার উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩২) ও গাড়ির চালক কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার সাজ্জাদ হোসেন (৩০)। জিয়াউদ্দিন ও মিজানুর মাছ ব্যবসায়ী। আহতদের উদ্ধার করে বদরখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে জিয়াউদ্দিনের মাথায় ২২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও ডাকাতির শিকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বড় মহেশখালী থেকে একটি জিপ গাড়িতে ছয়টি মাছের ঝুঁড়ি নিয়ে রওনা দেন জিয়াউদ্দিন ও মিজানুর। ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাহারবিলের কোরালখালী এলাকায় পৌঁছালে গাড়ির একটি চাকা পাংচার হয়ে যায়। চালক যখন চাকা পাল্টাচ্ছেন তখনই ১০জন স্বশস্ত্র ডাকাত তাঁদের তিনজনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এসময় তিনজনের কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন, চালকের ১০হাজার টাকা ও জিয়াউদ্দিনের আট হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতদলের সদস্যরা। ১০ মিনিট পরে ডাকাতদলের একটি ট্রাক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জিপ গাড়ি থেকে মাছের ঝুঁড়ি ট্রাকে ভরতে শুরু করে ডাকাতরা। একপর্যায়ে ২০০ কেজি বাটা ও টেংরা মাছ, ১৪০ কেজি গলদা ও ২৫০ কেজি বাগদা চিংড়ি লুট করা হয়। ডাকাতদলের বন্দুকের আঘাতে গুরুতর আহত হন জিয়াউদ্দিন ও চালক সাজ্জাদ হোসেন। অন্য ব্যবসায়ী মিজানুর ডাকাতদলের এক সদস্যকে কামড় দিয়ে পালিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় আশ্রয় নেন।
ডাকাতির শিকার ব্যবসায়ী জিয়াউদ্দিন বলেন, স্থানীয় মাদ্রাসায় ও পাশের মসজিদে ৫০-৬০জন শিক্ষার্থী ও মুসল্লী ছিলেন। তাঁদের চিৎকারে কেউ এগিয়ে যান নি। ডাকাতদলের সদস্যরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাঁদের কাছে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন বলেন, ডাকাতির সময় এগিয়ে এলে তাঁরা এলাকায় বসবাস করতে পারবেন না। জীবনের ঝুঁকি আছে। তাঁরা সব ডাকাতকে চিনেনও। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ এলে ডাকাতির কথাটি পর্যন্ত স্বীকার করতে পারবেন না। এমন সাহস এলাকার কেউ করবে না।
থানাকে জানাননি কেন জানতে চাইলে জিয়াউদ্দিন বলেন, থানা পুলিশ কেমনে করব, স্থানীয় কেউ তো সাহসও দিলেন না। ডাকাতদের ভয়ে সবাই তটস্থ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া সড়কে ডাকাতির কোনো বিষয় শুনেননি। তবে তিনি এবিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানান।