গত সোমবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তীকে প্রত্যাহারে মানববন্ধন করেছিলেন কিছু ব্যক্তি। সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ‘গণহারে ট্রিট ফর এফআইআর আদেশ বন্ধ চাই, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ সম্বলিত ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। এই মানববন্ধনে ব্যবহৃত শব্দ চয়নের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চকরিয়া এডভোকেট’স এসোসিয়েশন।
সভাপতি হাবিব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চকরিয়ার বিরুদ্ধে গত ১৪ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে স্বার্থান্বেষী, বিভিন্ন মামলার আসামী, এলাকায় পাহাড় খেকো, বনখেকো হিসাবে জনসমাধৃত চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী ৬০-৭০ জন ব্যক্তি মানববন্ধনের নামে আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে যে শব্দচয়ন করা হয়েছে তা বিজ্ঞ আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপতুল্য। কথিত বেআইনী মানববন্ধনের পর শুরু হওয়া মিছিলে বিজ্ঞ বিচারকের বিচারিক মনোভাবের প্রতি অসম্মান, অশ্রদ্ধা প্রদর্শন পূর্বক বিজ্ঞ বিচারককে উদ্দেশ্য করে যে অশ্লীল, অকথ্য, অশ্রাভ্য শব্দচয়ন করা হয়েছে তা অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য বটে। বিজ্ঞ আদালত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞ আদালতের বিচারাধীন আদেশের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এরকম নজিরবিহীন জনসমাবেশ বেআইনী, সংবিধান লঙ্ঘন এবং আইন ও আদালতের প্রতি বিচারপ্রার্থী জনসাধারণের আস্থাশীলতায় করাঘাতের শামিল। চকরিয়া এডভোকেট’স এসোসিয়েশনের সকল আইনজীবী তীব্র নিন্দা ও অসন্তোষ জ্ঞাপন করছি।’
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি-সম্পাদক ছাড়া আরও অন্তত ৬০জন আইনজীবী স্বাক্ষর করেছেন।
চকরিয়া এডভোকেট’স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ উদ্দিন বলেন, আদালতে বিচারাধীন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে অর্ধশতাধিক মানুষ যে স্পর্ধা দেখিয়েছে তা আদালত অবমাননার শামিল। চকরিয়ায় এরকম মানববন্ধন এটা প্রথম। আমরা আইনজীবীরা এই বেআইনী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছি।