Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পেকুয়ায় আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতার মামলা 

তিন বছর আগে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির স্বাগত মিছিলে হামলা, গুলি ও ককটেল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে পেকুয়া থানায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় আরও ৫০-৬০জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ হোছাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উজানটিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম, শিলখালীর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মগনামার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী, রাজাখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূর, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এইচএম শওকত, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবছার হাসান, রাজাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল ইসলাম, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ, ওসমান সরওয়ার প্রমুখ।

মামলার এজাহার ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে পেকুয়া বাজারে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির স্বাগত মিছিল বের করা হয়। এসময় নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ, মারধর ও ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কামরুজ্জামান সাঈদী, আবু তৈয়ব, এরশাদুল আলম, রেজাউল করিম, তামিম হোছাইন, মোহাম্মদ রাজু আহত হন।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ হোছাইন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আমরা সুষ্ঠুভাবে একটি মিছিলও করতে পারিনি। আমাদের স্বাগত মিছিলে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে ককটেল ও গুলি বর্ষণ করা হয়। এতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আহত হন। থানায় তখন এজাহার নিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাদের দাপটে পুলিশ মামলা না নিয়ে আমাদের ফেরত দেন।

তবে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রদলের স্বাগত মিছিলে তৎকালীন পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা-গুলি চালায়। তাঁদের সহযোগিতা করে আওয়ামী লীগের অন্য নেতা-কর্মীরা।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ হোছাইন বাদী হয়ে হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ৩৫জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় ওয়াসিম হত্যা, চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের পুলেরছড়া সেতু এলাকায় মিজান হত্যা, পেকুয়ায় ভোটকেন্দ্রে আব্দুর রহিমকে হত্যা চেষ্টা মামলা, ছাত্রদলের মিছিলে ককটেল ও গুলিবর্ষণ মামলা এবং রামপুর মৌজায় চিংড়িঘের দখলের অভিযোগে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা হয়েছে। চিংড়িঘের দখলের মামলা ছাড়া অন্য চারটি মামলায় পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমকেও আসামি করা হয় ।

28Shares