কক্সবাজারের পেকুয়ায় তিন নারীসহ ৬জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর গোঁয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন মৃত জাফর আহমদের স্ত্রী জাহান আরা বেগম (৬০), ওমর ফারুক(৩১), আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৩৫), আরিফুল ইসলাম (৪৫), আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মিনু আরা বেগম(২৮) ও মেয়ে হুমায়রা বেগম(১৬)।
এঘটনায় ওমর ফারুক বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওমর ফারুক ও আজিজুল হক পক্ষের মাঝে বসত ভিটার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। এবিষয়ে একাধিকবার সালিসি বৈঠকও হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে মামলাও রয়েছে। সকালে একটি ঝুপড়ি ঘর নির্মাণের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
জায়গার মালিক দাবীদার ওমর ফারুক বলেন, স্থানীয় সোলাতান আহমদের ছেলে আজিজুল হক দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের পৈত্রিক বসত বাড়ির চলাচল রাস্তা জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। জবর দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এম,আর, মামলা নং- ৪১৫/২০২১ দাখিল করি। আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাঁদের প্রতি চূড়ান্ত বারিত আদেশ প্রদান করেন। ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজিজুল হকসহ ৭-৮ জন লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠি-সোঁটা নিয়ে চলাচল পথ বন্ধ করে ঘর নির্মাণের কাজ করে। এতে আমার মা জাহান আরা বেগম বাধা দিলে অতর্কিতভাবে তাকে মারধর করে। পরে আহত মাকে উদ্ধার করতে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। আজিজুল হক ওই ঝুপড়ি ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের মিথ্যা মামলা জড়ানোর হুমকি দেন।
এদিকে আজিজুল হক বলেন, আমি আমার বসতভিটায় একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেছি। ওমর ফারুক ও তাঁর লোকজন ওই জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছে। ওই পাকা ঘরটিতে আমাকে পরিবার নিয়ে বসতি করতে দিচ্ছে না। আমি নিরুপায় হয়ে পাকা ঘরের পাশে ঝুপড়ি ঘর মেরামত করতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। ওই দিন আমার ঘরটি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। উল্টো আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) দূর্জয় বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।