Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চকরিয়ায় হত্যা মামলার সাক্ষী এক নারীকে ঘর থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের গুরুইন্যাকাটা গ্রামে হত্যা মামলার সাক্ষী এক নারীকে ঘর থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ওই নারীকে অপহরণ করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালায় এবং চার নারীকে কুপিয়ে গুরুতর জখমও করেছে। 

শুক্রবার সকালে সাহারবিল ইউনিয়নের  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এম এম রকীব উর রাজা এবং থানার ওসি মো: মনজুর কাদের ভূইয়া ।

অপহৃত নারীর নাম আয়েশা আক্তার (৩০)। তিনি সাহারবিল ইউনিয়নের গুরুইন্যা কাটা গ্রামের আব্দুল মালেকের স্ত্রী। অপহরণের পর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত (শুক্রবার দিবাগত রাত একটা) তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এঘটনায় অপহরণের শিকার নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে চকরিয়া থানায় এজাহার দেয়া হয়েছে। এতে দাবী করা হয়, সন্ত্রাসীরা পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে চারজন নারীকে জখম করে। এসময় আয়েশা আক্তারকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে নগদ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং এক ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে।

আহতেরা হলেন নুরুজা বেগম (৪০), মরিয়ম বেগম (৩৫), ফারজানা ইয়াছমিন (১৯) ও আয়েশা ছিদ্দিকা (১৮)। আহতেরা বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এজাহারে বাদী দাবি করেন, গত ২৮ এপ্রিল সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুরে আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল করিমের ছেলে আলী আহমদ ১ মে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন আয়েশা।

হত্যা মামলার আসামিরা মামলাটি তুলে নিতে বাদী ও সাক্ষীদের নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ কারণে হত্যা মামলার বাদী আলী আহমদ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন, আর তাঁর এক ভাই অন্য মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে হামলা ও নারীকে অপহরণের ঘটনায় চকরিয়া থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘আক্রান্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি অপহৃত ওই নারীকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। 

2Shares