Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

খুটাখালীতে স্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধের খাল, খুটাখালী ছড়ার মুখ ও তলিয়া ঘোনার খালে স্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা। ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে খালের বেড়িবাঁধসহ চিংড়ি ঘের আর লবণ মাঠের বাঁধগুলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রথম স্পট হলো মেধের খালে সংযুক্ত তলিয়ার খাল। এই খাল সংলগ্ন ছাগল খাইয়া চিংড়ি ঘের ও লবণ মাঠের লাগোয়া পূর্বপাশে খাল থেকে স্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় এরশাদসহ আরও ১-২জন লোক।
দ্বিতীয় স্পট হলো তলিয়ার খাল সংলগ্ন ছড়াঘোনা আর মাষ্টার ঘোনার মাঝখানের খাল থেকে স্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় আব্দুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ছাবের আহমদ।

তৃতীয় স্পট হলো মেধের খালে সংযুক্ত খুটাখালী ছড়ার মুখ। অর্থাৎ রাবার ড্যামের নিচে খুটাখালী ছড়ার মুখে স্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে রায়হান, আলী আহমদ ও সোলতান।

স্থানীয়ভাবে এরশাদ, আব্দুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, ছাবের আহমদ, রায়হান, আলী আহমদ ও সোলতান আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের দোসর হিসেবে পরিচিত।

বালু উত্তোলনকারীরা টেম্পু বোট যোগে বালুগুলো বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। এই বালু উত্তোলনের ফলে মেধের খালের বেড়িবাঁধসহ ছাগল খাইয়া, ছড়াঘোনা, মাস্টার ঘোনা ও মসজিদ ঘাটার চিংড়ি ঘের আর লবণ মাঠের বাঁধে ব্যাপক ফাটল ধরেছে। যেকোন মূহুর্তে জোয়ারের পানি আর বর্ষার উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে বাঁধগুলো। এতে শত লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবে ঘের আর লবণ চাষিরা। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডেরও ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা এলাকার কাউকে পরোয়া করেন না। মানে না দেশের প্রচলিত আইন-কানুন। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই হামলার শিকার হতে হয় বলে চাষিরা নিরব রয়েছেন। এই খালে যে কাঠের সেতু, সেটিও ভেঙ্গে পড়ার মুখে। খালটি ভাটায় হেঁটে পারাপার করা যেত। এখন ভাটাতেও ১০-১৫ হাত পানি থাকায় পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভবিষ্যতের চিন্তা করে লবণ মাঠ আর চিংড়ি ঘের রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাষিরা।

চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুর রহমান বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সে যেই হোক বালু উত্তোলন বন্ধসহ উত্তোলনকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।

4Shares