Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মগনামার ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদের কবল থেকে জমি উদ্ধার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন এক নারীর

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে এক বিধবা নারীর জায়গা জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই জমি জবরদখল থেকে উদ্ধার পূর্বক প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই নারী । সোমবার বিকেলে পেকুয়া উপজেলা প্রেসক্লাব হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবী তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সামসুন্নাহার বলেন, আমার স্বামী সাদেক হোসেনের নামে মগনামা মৌজার বিএস রেকর্ডীয় খতিয়ান ৫৪৬ হতে ২৬ শতক জমি দেয়ারা জরিপে চুড়ান্ত রেকর্ড হয়। যার খতিয়ান নং ১৩২৯ এবং আর.এস দাগ নং ৭৪৯৪ ও চিহ্নিত খতিয়ান নং ৫১৫২। উক্ত জমি আমরা দীর্ঘ অনেক বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। স্থানীয় মৃত আবদুল মালেকের ছেলে ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ ও তাঁর লোকজন ওই জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে কবলা সৃজন করে জোর পূর্বক জবরদখল করে রাখে। এ জবরদখলের বিরুদ্ধে আমার মেয়ে সাবেকুন্নাহার তানিয়া কক্সবাজার বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং৫১ /২৩। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার পর সাবেকুন্নাহার তানিয়ার পক্ষে রায় প্রদান করে। এতে অবৈধ দখলদারকে জমির দখল ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু নুর মোহাম্মদ মামলা চলাকালীন সময়ে তথ্য গোপন রেখে জাল দলিলের মাধ্যমে পেকুয়া ভূমি অফিসে জমাভাগ খতিয়ান সৃজন করে। এদিকে ওই সৃজিত খতিয়ানের বিরুদ্ধে আমরা আপত্তি দায়ের করি। পরে বিজ্ঞ আদালত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী শুনানিতে ঐ খতিয়ানকে অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করেন। এরপরও নুর মোহাম্মদ আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উক্ত জমি জবরদখল করে রেখেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে জায়গার মালিক সাবেকুন্নাহার তানিয়া বলেন, আমরা জমিতে কাজ করতে গেলে নুর মোহাম্মদ তাঁর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে কাজে আমাদের বাধা দেয়। নুর মোহাম্মদ প্রভাবশালী মানুষ।তিনি প্রতিনিয়ত আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এই অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের ওয়ারিশ সাবেকুন্নাহার তানিয়া, তামজিনা খানম ও তাসমিন খানম উপস্থিত ছিলেন।

30Shares