কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে এক নারীর মরদেহ ফেলে পালানোর সময় নুরুল আলম সিকদার (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে হাসপাতালের কর্মচারীরা। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার ও বাড়ির মালিককে আটক করেছে পুলিশ। আটক নুরুল আলম সিকদার চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ঢেমশা এলাকায়। তিনি ওই এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে।
থানা পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মচারীরা জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে নুরুল আলম সিকদার নামে এক ব্যক্তি একটি অ্যাম্বুলেন্স গাড়িতে করে রুমানা আক্তার (২৭) নামের এক নারীর মরদেহ নিয়ে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে আসে। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এসময় নারীর মরদেহ নিয়ে আসা নুরুল আলম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার ভাড়া বাসায় ওই নারী স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন।
হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই নারীর নাম রোমানা, প্রযত্নে সাদ্দাম ড্রাইভার, ঠিকানা কালুর দোকান, কক্সবাজার লেখা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ওই নারীর গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) ইয়াসিন মিয়া বলেন, কক্সবাজারের রামু উপজেলার চান্দেরঘোনা এলাকায় নুরুল আলম সিকদারের ভাড়া বাসায় ভাড়াটিয়া ছিলেন রুমানা। শুক্রবার দুপুরের দিকে ওই নারী ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার পর তাকে উদ্ধার করে বাড়ির মালিক নুরুল আলম সিকদার নিকটস্থ রামু উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে রেফার করেন। আশংকাজনক অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেলে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ওসি তদন্ত বলেন, বিষয়টি রামু থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।