কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোনের ৮০০ একর চিংড়ি ঘের জবরদখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জবরদখলকারী সন্ত্রাসীর গুলিতে মোহাম্মদ এহেসান (৩৫) নামের এক ঘের কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি একটি বন্দুকসহ ৪জন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ ঘের কর্মচারী মোহাম্মদ এহেসান উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা গ্রামের মৃত সামশুল আলমের ছেলে।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক চারজন হলেন চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আবু তাহের (৪৬), একই এলাকার জাকের আহমদের ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ (৩৪), নুরুনবীর ছেলে আবু তাহের মিয়া (৪৪) ও আব্দুল মজিদের ছেলে দিদারুল ইসলাম (২৫)।
স্থানীয় লোকজন ও চিংড়ি চাষি সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় লিজভুক্ত ৮৩০একর চিংড়ি প্লট রয়েছে। ঘেরগুলো দীর্ঘদিন নবায়ন না হওয়ার সুযোগে পালাবদল দখল-বেদখল হয়ে ডাকাতদলের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে ২০থেকে ২৫জন ডাকাত ঘেরগুলো দখল করে।
এরপর রোববার বিকেল আড়াইটার দিকে ঘেরগুলোর মালিকপক্ষ সেখানে গেলে দুইপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে একজন ঘের কর্মচারি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে খবর পেয়ে চকরিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে চরণদ্বীপ ভাটামনির খাল এলাকার চিংড়িঘেরের একটি বাসা থেকে একটি দেশীয় তৈরী কাটা বন্দুকসহ আবু তাহের মিয়াকে পাকড়াও করে। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আবু তাহের, মিরাজ ও দিদারুল ইসলামকে পাকড়াও করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চিংড়ি জোনে ৮৩০একর ঘের দখলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে অস্ত্রসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। একজন ঘের কর্মচারি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।