
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া-বারবাকিয়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় কন্টেইনারবাহী লরি খাদে পড়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে ভেঙে গেছে। এসময় আরেকটি খুঁটির ক্রস আর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিদ্যুতের খুঁটিতে লরির ধাক্কার ঘটনা ঘটে।
জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পেকুয়া কার্যালয় জানায়, পেকুয়া মৌলভীপাড়া-বারবাকিয়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় কন্টেইনারবাহী লরি দুর্ঘটনায় একটি ৪০ সাইজের খুঁটি ভেঙে যায় এবং অন্য খুঁটিতে একটি ক্রস আর্ম ভেঙে যায়। উক্ত দুর্ঘটনায় পেকুয়া ৩ নম্বর, ৫ নম্বর ও বাঁশখালী ৩৩ কেভি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে উপজেলার বারবাকিয়া, টৈটং, রাজাখালী ও শিলখালী ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। কন্টেইনারবাহী লরি সরিয়ে নতুন খুঁটি স্থাপন করে সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পেকুয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) খন্দকার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়ে বর্তমানে ১০হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত (দুপুর একটা) লরিটি খাদ থেকে তোলা সম্ভব হয়নি। লরি না সরালে খুঁটি পুনঃস্থাপন করাও সম্ভব না। তবে চেষ্টা করছি, আজকের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে।
বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা এলাকার বাসিন্দা রিদুয়ানুল হক বলেন, রাত দেড়টা থেকে বিদ্যুৎ নেই। ১২ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজের সবকিছু নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত লরিটি সরিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা দরকার।
লরিটির চালক মোহাম্মদ কাশেম (৩২) বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কন্টেইনারবাহী লরিটি মালামাল নিয়ে মগনামায় সাবমেরিন ঘাঁটিতে যাচ্ছিল। মৌলভীপাড়া-বারবাকিয়া সেতুটি উঠার আগমুহূর্তে তীব্র একটি বাঁক আছে। এই বাঁক পার হয়ে উঁচু সেতু উঠতে গিয়ে গাড়ি পেছনে চলে যায়। এতে খাদে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লাগে।
চালক কাশেম বলেন, এই বাঁক পার হয়ে উঁচু সেতু উঠতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ সড়কে এখন যান চলাচল বেড়েছে। এটা নিয়ে কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত।