Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নিজের জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার প্রবাসী পরিবার

চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের পূর্ব পালাকাটা এলাকায় রেজিস্ট্রি দলিলমূলে কেনা জমিতে দোকান নির্মাণ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আজিজ নামের এক দুবাই প্রবাসী। অথচ জমি কেনার বিষয়টি গোপন করে স্থানীয় একটি মহল আদালতের নাম ভাঙিয়ে উল্টো প্রবাসী আবদুল আজিজের কেনা জমিটুকু জবরদখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি আবদুল আজিজের পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ছাড়াও এলাকাবাসীর কাছে দখলবাজির তকমা লাগিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রবাসী আবদুল আজিজের ভাই চকরিয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় সমিতির সভাপতি সাবেক মেম্বার আবদুল হাফেজ। 

আবদুল হাফেজ বলেন, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেজিস্ট্রি দলিলমূলে (দলিল নং ৬৫৪) চিরিংগা মৌজার বিএস ৭৪৩ খতিয়ানের বিএস ১৩২১ দাগের দুই দশমিক শুন্য শুন্য পাঁচ শতক জমি ক্রয় করেন। আগের জমি মালিকের ওয়ারিশ যথাক্রমে মরহুম ইউছুপ আলীর ছেলে বশির আহমদ, নুরুল ইসলাম, মেয়ে আনোয়ারা বেগম, সেতারা বেগম, আরফা বেগম, মরহুম নজির আহমদের ওয়ারিশ তথা মেয়ে রোকসানা আহমেদ, তাহমিনা খানম, মুসলিমা খানম, ছারা খাতুন প্রকাশ টুনু বিবির ওয়ারিশ যথাক্রমে মেয়ে খাতেমুন আরা, মেয়ে রওশন আরা বেগম উক্ত দলিলে স্বাক্ষর দিয়ে তাদের ওয়ারিশী অংশে প্রাপ্ত জমি ক্রেতা আবদুল আজিজকে বিক্রি করে দেন। এরপর উক্ত জমির বিপরীতে ক্রেতা আবদুল আজিজের নামে ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ চকরিয়া উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নামজারি জমাভাগ খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে। যার খতিয়ান নং ৪০০৬।

আবদুল হাফেজ আরও বলেন, আমার ভাইয়ের কেনা জমিতে পরিবার সদস্যরা কিছুদিন আগে একটি দোকানঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে দোকানঘরের অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে আমার ভাইয়ের কেনা জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি চকরিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পালাকাটা এলাকার মৃত হাজী আব্দুছ ছালামের ছেলে শফিউল আলম বাদি হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারার জন্য একটি এমআর (মামলা নং ৬১/২০২৫) দায়ের করেন। যদিও মামলায় এখনো আদালত থেকে কোনো ধরনের আদেশ বা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তবে উক্ত জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানার ওসি এবং উক্ত জমি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করতে চকরিয়ার এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবদুল হাফেজ অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার প্রবাসী ভাই ও আমার পরিবার সদস্যরা অবৈধভাবে কারো জমি দখলে জড়িত নেই। মূলত টাকা দিয়ে রেজি:মূলে কেনা জমিতে দোকান নির্মাণ করছেন আজিজ। অথচ সত্য বিষয়টি গোপন করে শফিউল আলম, তার ভাই শহিদুল ইসলাম বেনু গং পরিকল্পিতভাবে আমার ভাই ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। একইসঙ্গে বেনু গং পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে বানোয়াট তথ্য দিয়ে উল্টো আমাদের হয়রানি করার জন্য এবং আমার ভাইয়ের কেনা জমি জবরদখলের জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন, চকরিয়া থানার ওসি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি  আমার ভাইয়ের কেনা জমির রেজিস্ট্রি দলিল ও খতিয়ান যাচাই-বাছাই করুন। আমরা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার কামনা করছি।

1Shares