
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনা পাড়ায় ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর আহত হন নিহত তরুণের মা। শনিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের নাম এহেছানুল করিম (১৭)। তিনি একই ইউনিয়নের মাঝিরপাড়া এলাকার মৃত জাকের উল্লাহর ছেলে। আহত এহেছানুলের মা রেহেনা আকতারকে (৩৯) পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত এহেছানুল বরইতলী রাস্তার মাথায় একটি চায়ের দোকানে চাকরি করতেন।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, নিহত তরুণ এহেছানুলের বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া নিহতের মা রেহেনার বাঁ চোখের ওপরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, টেকঘোনা পাড়ার মোহাম্মদ জুনাইদ (১৮) ও মাঝিরপাড়ার এহেছানুল করিম (১৭) সমবয়সী-বন্ধু। কয়েকদিন আগে জুনাইদের দুই হাজার টাকা চুরি হয়। টাকা চুরিতে তিনি এহেছানুলকে সন্দেহ করেন। শনিবার বিকেলে এহেছানুল ও তাঁর মা রেহেনা আকতার বসতঘর মেরামতের জন্য বাজার থেকে বাঁশ কিনতে যান। সন্ধ্যার পরে বাঁশ কিনে বাজার থেকে ফেরার পথে টেকঘোনা পাড়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন আমির হোসেনের বসতঘরের পেছনে পৌঁছালে জুনাইদ তাঁদের পথরোধ করেন। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জুনাইদ কোমর থেকে ছুরি বের করে এহেছানুলকে ছুরিকাঘাত করেন। এসময় মা রেহেনা আকতার বাধা দিলে তাকেও ছুরিকাহত করে জুনাইদ পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন মা-ছেলে দুজনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এহেছানুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে একজনের ছুরিকাঘাতে এহেছানুলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ তাকে ধরতে চেষ্টা করছে।