
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমারকাটা এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত আরেক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ওই যুবকের নাম খায়ের উদ্দিন (৩৯)। তিনি হাসিমারকাটা এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে।
গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হাসিমারকাটা এলাকায় দুই যুবককে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে নিহত হন স্থানীয় আলতাফ হোসেন চৌধুরীর ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)। আরেক আহত খায়ের উদ্দিনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চারদিন পর আজ শনিবার রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ছুরিকাঘাতে হতাহতের ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অভিযানে হাসিমারকাটা এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সুজন (৩৫), তাঁর মা ফাতেমা বেগম (৫৫), বোন রেশমী আকতার (২২), ভাবী রচনা আকতার (২৮) ও সাজ্জাদের স্ত্রী জাকিয়া সোলতানা (২৫) আটক হন। পরে নিহত আরিফের ভাই আরমান হোসেন বাদি হয়ে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
চকরিয়া থানার পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ স্টেশনে বাজার করতে যান আরিফ হোসেন। বেলা ১১টার দিকে হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর সঙ্গে ফিরছিলেন খায়ের উদ্দিনও। স্থানীয় রাজা মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সুজন নামের এক যুবক ছুরি নিয়ে আরিফকে পেটে ও বুকে পর পর আঘাত করেন। এসময় আরিফের সঙ্গে থাকা খায়ের উদ্দিন বাধা দিলে তাকেও পেটে ছুরিকাঘাত করেন সাজ্জাদ। একপর্যায়ে আরিফ ও খায়ের মাটিতে পড়ে গেলে সাজ্জাদ পালিয়ে যান।
কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ছুরিকাঘাতে আরিফ হোসেন নিহত হওয়ার চারদিন পর গুরুতর আহত খায়ের উদ্দিন আজ শনিবার রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একই ঘটনায় দুই যুবক মারা যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। মামলার সব আসামি গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। ওসি বলেন, আহত খায়ের উদ্দিন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা তাঁর ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করছে।