
চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদ বদরখালীতে শনিবার দিবাগত রাতে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে পেশিশক্তি প্রদর্শন করেছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। গুলিবর্ষণ কাণ্ডের এই ঘটনায় বদরখালীর গুদামপাড়া ও পাশের আমিরখালী পাড়ার মানুষ রাতভর ভয়ে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক ওই এলাকার বাসিন্দা আবদুল হালিম (৫২) নামের এক মৎস্যচাষীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার দাবিতে গতকাল রোববার (১৫ জুন) বিকালে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। বদরখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ফজর আলী সড়কের তালতলী এলাকায় আমিরখালী পাড়ার শত শত নারী-পুরুষ শিশু উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, গত ১২ জুন শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে আবদুল হালিম নামের এক মৎস্য চাষি নিজের মৎস্য ঘেরে যাওয়ার পথে বদরখালী ইউনিয়নের আমির আলী পাড়ার চলাচল রাস্তায় একা পেয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা চেষ্টা করে গুদামপাড়ার বাসিন্দা একাধিক মামলার আসামি ছাবের বাহিনীর সদস্যরা। এঘটনায় শনিবার (১৪ জুন) রাতে চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। ওই মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ার খবর এলাকায় চাউর হলে ছাবের বাহিনীর সন্ত্রাসীরা শনিবার দিবাগত রাতে গুদামপাড়া এলাকায় অন্তত ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করে। পরে স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
মানববন্ধনে আহত আবদুল হালিমের ছোট ভাই বলেন, কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ছাবের বাহিনীর লোকজন শনিবার রাতে গুলি ছোড়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করে। এসব সন্ত্রাসীর কারণে ওই এলাকার চিংড়ি চাষীরা ভয়ে তটস্থ থাকেন। এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকায় লোকজন, চিংড়িচাষি ও ঘের মালিকরা দাবী জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বদরখালী সমিতির পরিচালক আনোয়ার ইসলাম, আহত আবদুল হালিমের ছোট ভাই আবদুর রহিম, চিংড়ি ব্যবসায়ী আবদুল মালেক, চিংড়িঘের কর্মচারী মো. সেলিম, স্থানীয় বাসিন্দা ছৈয়দ করিম। এসময় আমিরখালী পাড়া ও গুদামপাড়া এলাকার অন্তত চার শতাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তাররর দাবি জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে।