Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, একরাতেই গ্রেপ্তার ২৭ নেতা-কর্মী

কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের ২৭জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটার মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সাত মামলায় তাকে ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই সময় জাফরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী। এরপর থানা পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন। বিএনপি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরও কিভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে মিছিল করার সুযোগ পায়।

তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দাবি, মূলত বিএনপির সমালোচনার মুখে পড়ে আওয়ামী লীগের নিরীহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে।

চকরিয়া থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের ভাতিজা হাসান আল বছরী (৪৭), চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান (৪৫), লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সোহরাব হোসেন ওরফে নান্নু (৪৫), হারবাং ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জহিরুল ইসলাম ওরফে মানিক(৩৭), আব্দুল কাইয়ুম (৩২), শহিদুল ইসলাম ওরফে আজাদ (২৯), আব্দুর রহিম (৫৩), মিজানুর রহমান (৩৪), জমির উদ্দিন (৪৫), আব্দুল জলিল (৩৪), তৌহিদ হোসেন চৌধুরী (৫৪), হেলাল উদ্দিন (৪৭), আবুল হোসেন ওরফে বাবলু (৩৫), জফুর আহমদ (৬০), বাবুল বড়ুয়া (৫৮), বিপ্লব বড়ুয়া (৩৪)।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের ১৬জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীরা নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি।

অন্যদিকে পেকুয়া থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগের ১১জন নেতা-কর্মী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের নেতা ও মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য নুর মোহাম্মদ ওরফে মাদু (৫৫), পেকুয়া উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীর (৫৩), মগনামা ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া (৩৫), টৈটং ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা রুবেল হোসেন (২৬), শ্রমিকলীগের নেতা মো. মোক্তার হোসেন ওরফে কালু (৩২), মোকাদ্দের (২৫), কৃষকলীগের নেতা মো. আলম (৩৫), মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন (৩৬), আওয়ামী লীগের কর্মী নাছির উদ্দিন (৫৫), জামাল হোসেন (৪৫) ও শাহিনুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম (২১)।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়া থেকে ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ওসি।

0Shares