
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিকদল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে তিনটি মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে পেকুয়া থানায় নেওয়া হয় জাফর আলমকে। এরপর গতকাল রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পেকুয়া বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে চৌমুহনী উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামরান জাদিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ বলেন, আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো কাজ করা যাবে না। জাফর খুনী। তাঁর ফাঁসির দাবি আমরা জানাই। কিন্তু কেউ প্রশাসনের কাজে বাধা দিবেন না।
বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ার প্রখ্যাত খুনি জাফরকে পেকুয়া থানায় রিমান্ডে আনার খবর পেয়ে পেকুয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণ তাঁর ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর। ২০১৪ সালে সালাহউদ্দিন আহমেদের গুমের খবরে কক্সবাজার জেলায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল জাফর আলমের নেতৃত্বে। আজকে সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকায় বসে বাংলাদেশের প্রতিটি ব্রিফিং এবং প্রতিটি জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আর যারা মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন, আনন্দ করেছিলেন, আজকে তারা দিনের পর দিন রিমান্ডে। আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যারা খুনের রাজনীতি করে তাদের জন্য অশনিসংকেত। যারা ভোট ডাকাতির রাজনীতি করে তাদের জন্য অশনিসংকেত। জাফরদের মতো খুনি রাজনীতিবিদ এদেশের মানুষ আর চায়না।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামরান জাদিদ বলেন, খুনি জাফর গত ১৭ বছর আ. লীগের আমলে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, গরুচুরি, ডাকাতি, খুনসহ করেননি এমন কোনো অপরাধ নেই। সমস্ত অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত দেওয়ার সময় এখন হয়েছে। উপরে একজন আল্লাহ আছে সেটিও জাফর ভুলে গেছিলো। জাফরকে গতকাল বুধবার পেকুয়া থানায় রিমান্ডে আনা হয়েছে। আমরা দেখছি চকরিয়ার গরুচোর নবী হোসেনকে রিমান্ডে এনেছিলো চকরিয়া থানায়। থানার ওসি তাকে ভাত খাইয়ে দিয়েছিলো, জামাই আদর করেছে। আমরা চাইনা জাফরকে পেকুয়া থানায় জামাই আদর করুক।