
বসতঘরের জানালার লোহা কেটে ভেতরে ঢোকার সময় ডাকাত সদস্যরা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার সংযোগ কেটে দেন। এরপর বসতঘরের ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। এসময় এক ডাকাত গালে কষে থাপ্পড় দিয়ে বলেন, ‘পুরো বসতঘরে সিসি ক্যামেরা কেন লাগিয়েছিস?’ এরপর বসতঘরের তিনটি আলমিরা থেকে চার ভরি স্বর্ণ, দুই লাখের কাছাকাছি টাকা ও দুটো মুঠোফোন লুট করে ডাকাতদল।
আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই এলাকার একটি বাড়িতে বসবাস করেন ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন। তাঁরা তিনজনই আপন ভাই।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহবার সাকিব। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার কিছু আলামত পেয়েছি। বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে চারভরি স্বর্ণ, দুই লাখের কমবেশি টাকা ও দুটো মুঠোফোন লুট করেছে ডাকাতদল। পুলিশ ঘটনাটি বিভিন্নভাবে তদন্ত করছে। ডাকাতির শিকার পরিবারের লোকজন এখনও (সন্ধ্যা সাতটা) থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি।
বাড়ির মালিক জালাল উদ্দিন বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ির বাইরে চারপাশে ও ভেতরে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে ১০-১২ সদস্যের মুখোশ পরিহিত সশস্ত্র একদল ডাকাত বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু সিসি ক্যামেরার কারণে তারা বাড়ির মূল দরজা দিয়ে আসতে না পেরে একটি কক্ষের জানালার লোহা কেটে ভেতরে ঢুকেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মির পর একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর ডাকাতদলের সদস্যরা তিন ভাইয়ের রুমে থাকা আলমারির চাবি নিয়ে খুলে স্বর্ণ, টাকা ও মুঠোফোন লুট করে। জালাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে কেন সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছি, তা জানতে চেয়ে ডাকাতদলের এক সদস্য আমাকে একটা চড় মারেন। বলেন, ‘পুরো বসতঘরে সিসি ক্যামেরা কেন লাগিয়েছিস? ‘ তবে পরিবারের অন্য সদস্যদের গায়ে হাত তুলেননি ডাকাতেরা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা বের করার চেষ্টা করছে।