
১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। তাদের মিয়ানমার জলসীমা থেকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্কের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ সময় একটি কাঠের নৌকা, ৬৪টি ভিস (প্রায় ১০৩ কেজি) মাছ/চিংড়ি, ২টি টানা জাল, ৪টি মোবাইল ফোন এবং ১,০৩০টি টারপলিন শিট জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৬টার দিকে দুটি স্পিডবোট এবং একটি বড় কাঠের নৌকা নিয়ে গঠিত একটি উপকূলীয় নিরাপত্তা টহল দল এন-খাউং-তাও বেস স্টেশন থেকে এনগওয়ে-মাউং উপকূলের দিকে রওনা দেয়। যাতে বাংলাদেশ থেকে আরাকান আঞ্চলিক জলসীমায় মাছ ধরার জন্য প্রবেশকারী নৌকাগুলোকে আটক করা হয়।
টহল দেওয়ার সময় সিত্তে টাউনশিপের কো-তান-কাউক গ্রামের প্রায় ১.৭৭ কিলোমিটার পশ্চিমে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে টহল দল মাছ ধরার সময় ৬ জন জেলেকে আটক করে।
এছাড়াও উপকূল থেকে প্রায় ৩.৯ কিলোমিটার দূরে কিয়ো-তান-কাউক গ্রাম এবং চেইন-খা-লি গ্রামের মধ্যে, সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে টহল দল ৭ জন জেলেকে আটক করে; যাদের নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় নৌকাটি নোঙর করে রাখা হয়।
যেসব জেলেরা অবৈধভাবে মাছ শিকারের জন্য আরাকানের জলসীমায় প্রবেশ করেছিলেন তাদের আরাকানের কোস্টগার্ড আইন অনুসারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে টেকনাফ কে কে পাড়ার জেলে রশিদ আহমেদ জানান, টেকনাফ সদর এলাকার শীলবনিয়াপাড়ার আরমানের মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৭ জেলে আরাকান আর্মির হাতে আটক হয়েছেন বলে জেনেছি। বাকি ৬ জনের বিষয় বিস্তারিত খবর পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন জানান, জেলে আটকের বিষয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কেউ অবহিত করেনি, তবুও আমি খোঁজ নিয়ে দেখতেছি। তবে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম না করার বিষয়টি খেয়াল রাখা জেলেদের জরুরি।




