
চকরিয়া পৌরশহরের বাণিজ্যিক জনপদ চিরিঙ্গা সোসাইটি এলাকায় ভেজাল খাদ্য তৈরি ও বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের একটি টিম।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে চকরিয়া পৌরশহরে পরিচালিত অভিযানে খাবার রেস্তোরাঁ ও মুদির দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন বিহীন মালামাল ও বিক্রিতে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, পন্যের গায়ে কোম্পানির লেবেল-মূল্য না থাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে সাত দোকানিকে হাতনাতে ধরেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মোঃ হাসান আল মারুফ।
এসময় অভিযুক্ত হোটেল রেস্তোরাঁ ও মুদি দোকানিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় সাতটি মামলার বিপরীতে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট।
অভিযানের সময় প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানেটারি পরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম, চকরিয়া পৌরসভার স্যানিটারী পরিদর্শক হায়দার আলী। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে সহায়তা করেন চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানেটারি পরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপন্য সরবরাহ, গুদামজাত ও বিক্রির অপরাধে পৌরশহরের চকরিয়া ট্রেড়িংকে ৫ হাজার টাকা, নিউ মিষ্টি ভবন নামের বেকারিকে ১০ হাজার টাকা মুদির দোকান আল আকসা স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, নিউ মদিনা স্টোরকে ২০ হাজার টাকা, থানা রাস্তার মাথাস্থ হাজ্বী বিরানী হাউসকে ৫ হাজার টাকা, একই এলাকার সিজল মিষ্টির দোকানিকে ৫ হাজার টাকা ও চকরিয়া থানা সেন্টার এলাকার বিরতি হোটেলকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মোঃ হাসান আল মারুফ জরিমানা দেওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় একই অপরাধ না করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন।





