Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিজয় দিবসে চকরিয়ায় ৪ কি.মি সড়কে জামায়াতের মিছিল

আধিপত্যবাদমুক্ত জুলাই চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান।

তিনি বলেন, বিভক্তির রাজনীতি নয়, দেশ গড়ার রাজনীতিই আজ সময়ের দাবি। তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ এতদিন মহান মুক্তিযুদ্ধকে তাদের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ইতিহাস বিকৃত করেছে। তিনি বলেন, জুলাইয়ের সম্মুখযোদ্ধা হাদির ওপর হত্যাচেষ্টা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, এটি বাংলাদেশের মানচিত্রের ওপর সরাসরি আঘাতের শামিল।
মঙ্গলবার বিকালে চকরিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিজয় মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকরিয়া উপজেলা, পৌরসভা, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ও পেকুয়া উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ২টায় চকরিয়া সরকারি কলেজ মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও র‌্যালি-পূর্ব বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

চকরিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সভা শেষে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে একটি বিশাল র‌্যালি কলেজ চত্বর থেকে শুরু হয়ে চার কিলোমিটার সড়ক প্রদিক্ষন করে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হয়।
জামায়াতের নেতাকর্মীদের মতে, বিজয় দিবসের এ র‌্যালি চকরিয়া-পেকুয়া অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য আকতার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া পেকুয়া) জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক। তিনি বলেন, জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে জামায়াত ইসলামি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির আলোকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করা হবে।
একইসঙ্গে আগামীদিনে সুশিক্ষিত ও আর্দশবান মেধাবী মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে এই জনপদের মানুষের প্রাণের দাবি অনুযায়ী চকরিয়া উপজেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।

চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা কুতুবউদ্দিন হেলালী ও মাওলানা সৈয়দ করিমের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল বশর, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দীন, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমির আরিফুল কবির, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফরিদুল আলম, চকরিয়া উপজেলা (উত্তর) সাবেক আমির মাওলানা ছাবের আহমদ এবং চকরিয়া উপজেলা (দক্ষিণ) সাবেক আমির মাওলানা মোজাম্মেল হক।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু, পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম জিহাদী, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান, বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরউদ্দীন মোহাম্মদ বাবর, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কায়সার, সমাজসেবক সরফরাজ আল নেওয়াজ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক আবু নাঈম আযাদ, গোলাম কবির, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ মূছা।
সমাবেশে বক্তারা স্বাধীনতা ও মহান বিজয়ের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নে ইসলামভিত্তিক রাজনীতি এবং জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

0Shares