নিজের বসতঘরের সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর ইউনিয়নের দক্ষিণ বহদ্দারকাটা এলাকায় দুই ভাই ও তাঁদের বাবার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এঘটনা ঘটে।
মৃতেরা হলেন ভেওলা মানিকচর ইউনিয়নের দক্ষিণ বহদ্দারকাটা গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৬৫), তাঁর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪৫) ও শহিদুল ইসলাম (২৫)।
নিহতদের আত্মীয়-স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, ভেওলা মানিকচরের দক্ষিণ বহদ্দারকাটা এলাকার আনোয়ার হোসেনের বসতঘর বন্যার পানিতে প্লাবিত ছিল গত সোমবার থেকে। বুধবার বিকেলের দিকে বন্যার পানি নেমে গেলে বসতঘর ধোয়া-মোছার পর রাত ১১টার দিকে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে ঢুকেন আনোয়ার হোসেন ও তাঁর ছেলে শহিদুল ইসলাম। তাঁরা সেখানে কেরোসিন ও ব্লিচিং পাউডার ছিটান। ভেতরে ঢুকার পর একটা চিৎকার দিয়ে উঠেন শহিদুল ইসলাম। তাঁর চিৎকার শুনে সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে ঢুকেন শাহাদাত হোসেন। তখন তিনজনই বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হলে তাঁদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শাহাদাত হোসেন ও শহিদুল ইসলাম মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের বাবা আনোয়ার হোসেনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা সিরাজুম মুনির বলেন, ‘সেপটিক ট্যাংক দীর্ঘদিন বন্ধ অবস্থায় থাকলে ভেতরে একধরনের বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ঢুকে পরিষ্কার করার সময় অক্সিজেনের অভাবে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার আছরের নামাজের পর বহদ্দারকাটা গ্রামে নিহতদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই ভাই ও তাঁদের বাবা অজ্ঞান হয়ে যান। দুজন চকরিয়া হাসপাতালে ও একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।