পাহাড় কাটার সময় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা ঢালারমুখ এলাকায় এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিকের নাম মোহাম্মদ আলম (৩৬)। তিনি উখিয়ার ১৭নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের সি ব্লকের বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম মরিচ্যা এলাকার খুইল্লা মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন বড় একটি পাহাড় কেটে মাটি পাচার করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো পাহাড় কাটার সময় আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে পাহাড়টির একটি অংশ ধসে পড়ে ঘটনাস্থলে মোহাম্মদ আলম মারা যান।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম মরিচ্যার ঢালারমুখ এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা চলছে। বনবিভাগ ও প্রশাসনকে বারবার বলার পারও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আজ পাহাড় কাটার সময় পাহাড়ের একটি অংশ ধসে পড়ে ওই রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। পাহাড়কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি।
বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, ‘বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দেলোয়ার নামের এক ব্যক্তি শ্রমিক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, নিহত শ্রমিক রোহিঙ্গা এবং তিনি ১৭ নং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের মাটি কাটার সময় মাটির বড় একটি অংশ তাঁর শরীরের উপর পড়লে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায় এবং ডান পায়ের গোড়ালীর হাড় ভেঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
গত ২০ জানুয়ারী উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দুবাই কাসেম মার্কেট এলাকায় পাহাড়ের মাটি কাটতে গিয়ে মো. মোসলেম উদ্দিন নামের আরেক যু্বক মারা গিয়েছিলেন।